গোষ্ঠী সংক্রমণ প্রবল রূপ নিচ্ছে বাংলাদেশে
কাগজে কলমে বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তর ৯৪ তম দিন। দিন বাড়ার সঙ্গে এখন যে আতঙ্ক তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে, তা হচ্ছে উপসর্গহীন আক্রান্ত। গোষ্ঠী সংক্রমণ জটিল হচ্ছে।
কে কোথায় গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছে, এখন সেই হিসেব থাকছে না। কীভাবে মুক্তি মিলবে, তার সঠিক উত্তর কারও জানা নেই। একটি কথাই দুনিয়ায় ঘুরে ফিরছে, তাহচ্ছে সামাজিক বা দৈহিক দূরত্ব মেনে চলা। এই দাওয়াই ছাড়া বর্তমান করোনা দুনিয়ায় আর কোন দাওয়াই এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি।
মঙ্গলবার একলাফে ৩ হাজার ১৭১ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের। এনিয়ে আক্রান্তর সংখ্যা ৭০ হাজার ৬৭৫ জন। মৃত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭৫ জনে। এসময় সুস্থ হয়েছেন ৭৭৭ জন। মোট ১৫ হাজার ৩৩৭ জন সুস্থ হলেন। সোমবার আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৭৩৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৪২ জন।
প্রথম করোনায় আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছিল গত ৮ মার্চ এবং প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। গতকাল অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, করোনা চিকিৎসায় অক্সিজেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অক্সিজেন থেরাপি হচ্ছে কারিগরি বিষয়, যা নিজে নিজে দিতে গেলে অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অক্সিজেন দেওয়া উচিত নয়। বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে না রাখতে অনুরোধ জানান তিনি।