সোমবার থেকে পথে অতিরিক্ত ৪০০ বাস
কলকাতা এবং শহরতলির মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়াতে আগামী সোমবার থেকে পথে নামছে অতিরিক্ত ৪০০টি বাস। নবান্ন সূত্রের খবর, এই ৪০০টির মধ্যে ২০০টি হবে এসি বেসরকারি বাস। বাকি বাসগুলি চালাবে এসবিএসটিসি। একদিকে রাজ্য সরকারের কর্মীদের কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার জন্য শিফটের ব্যবস্থা করা, অন্যদিকে বাসের সংখ্যা বাড়ানো, এই দুই পদক্ষেপে যাতায়াতের সমস্যা কিছুটা লাঘব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তার কথায়, যেহেতু এখন লোকাল ট্রেন এবং মেট্রো চলছে না, তাই বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেসরকারি বাস-অটো এবং ট্যাক্সির সংখ্যা ক্রমে বাড়তে শুরু করেছে। আগামী দিনেও এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। তার সঙ্গে সরকারি বাসের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে গড়িয়া, বেহালা, বারাসত, বারাকপুর সহ বিভিন্ন শহরতলি থেকে সল্টলেক এবং কলকাতায় আসার ক্ষেত্রে আরও সুবিধা হবে যাত্রীদের।
যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রসঙ্গে একই বক্তব্য বেসরকারি পরিবহণের মালিক সংগঠনগুলির। তবে তারা এও বলছে যে, যেহেতু যাত্রীর সংখ্যা কমেছে, তাই আগের তুলনায় আয় কমে গিয়েছে। তাই আয়-ব্যয়ের সামঞ্জস্য রেখেই ভাড়া বৃদ্ধি করা দরকার। এর আগে বাস মালিকদের কয়েকটি সংগঠন আয়-ব্যয়ের হিসেব পেশ করেছিল পরিবহণ দপ্তরের নবগঠিত কমিটির কাছে। শুক্রবার অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতি, বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট সহ মোট আটটি সংগঠন গত কয়েক দিনের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আয়-ব্যয়ের হিসেব জমা করেছে ওই কমিটির কাছে।
অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির দাবি, লকডাউনের আগে একটি বাসে সারাদিনে গড়ে ৭৫৫ জন যাত্রী হতো। গড় আয় ছিল ৫,৯৭০ টাকা। সেই জায়গায় বর্তমানে একটি বাসে যাত্রী হচ্ছে গড়ে ৩০০ জন। আয় কমে দাঁড়িয়েছে ২,৩৭০ টাকায়। এই সংগঠন মিনিবাস এবং জেলার বাস নিয়ে আলাদা করে হিসেব পেশ করেছে। বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব জানিয়েছে, লকডাউনের আগে একটি বাসে একদিনে যাত্রী হতো ৭৫০ থেকে ৮০০ জন। সেই জায়গায় এখন ২৮০ থেকে ৩২০’র মধ্যে রয়েছে যাত্রীসংখ্যা। আগে দিনে গড়ে আয় হতো ছ’হাজার টাকা। বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে আড়াই হাজার টাকা।