প্রথমবার কুকুর পুষতে চান? তাহলে এই ৭ প্রজাতি দেখতে পারেন
অনেকেই পশুপাখি ভালোবাসেন। কারও বাড়িতে ডোবারম্যান, কারও বাড়িতে জার্মান শেফার্ড, সকলেই এক অপত্য স্নেহ অনুভব করেন। কোন জাতের কুকুর পুষবেন সেটা সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত বাড়িতে যদি অতিথি আসার আধিক্য থাকে বা কোনও ছোট বাচ্চা থাকে।
তবে এ বার ভাবনা ছাড়ুন। যাঁরা প্রথমবার বাড়িতে কুকুর পুষছেন, তাঁরা দেখে নিন কোন কোন জাতের কুকুর দিয়ে শুরু করতে পারেন:
১) মল্টিজ: বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন প্রজাতির কুকুর এরা। দেখতে ভীষণ সুন্দর। আর চেহারার মতোই এদের স্বভাবও হয়। রানি এলিজাবেথের সময় থেকে এই কুকুর দের ‘দ্য কমফর্টার’ আখ্যা দেওয়া হয়। মনে করা হয়, এরা মালিকের কষ্ট এবং দুঃখ বুঝতে পারে এবং ভীষণ সংবেদনশীল হয়। আকারে ছোট হওয়ার দরুন ছোট ফ্ল্যাট বা বাড়িতে এদের রাখতে কোনও অসুবিধা হয় না।
২) গোল্ডেন রিট্রিভার: এরাও দেখতে খুবই সুন্দর হয়। ভীষণ বিশ্বাসী এবং ভালো কমপ্যানিয়ন কুকুর। তার সঙ্গে সমান আদুরে। দৌড়ানোর চেয়ে আপনার পায়ের কাছে বা কোলের ওপর শুয়ে ঘুমোনো বা আদর থেকেই বেশী পছন্দ করে এরা। খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ হয় বলে এদের কনফোর্ট ডগ হিসাবে সারা বিশ্বে ব্যবহরা করা হয়। বাড়ির অন্যতম সদস্য হয়েই এরা থাকতে পছন্দ করে।
৩) বিগল: ভীষণ চালাক-চতুর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খুব ভালো টেম্পার হওয়ার কারণে বিশ্বজুড়ে বিগলদের সকলেই পছন্দ করেন। খুব একটা শারীরিক সমস্যাও থাকে না। বাচ্চাদের সঙ্গে এরা খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার করে। এদের একটাই সমস্যা, প্রচণ্ড চিৎকার করে। তবে ছোট থেকে ঠিকঠাক ট্রেনিং দিলে এই সমস্যা আর থাকে না।
৪) জার্মান শেফার্ড: অপেক্ষাকৃত নতুন ব্রিডের কুকুর এরা। ১৮৯৯ সালে জার্মানিতে প্রথম এই প্রজাতির কুকুর বাড়িতে পোষার জন্য স্বীকৃতি পায়। এরা খুব সাহসী, বাধ্য, বিশ্বাসী এবং শিখতে আগ্রহী। এরা খুবই বুদ্ধিমান প্রজাতির কুকুর। এ জন্য পুলিশ কুকুর হিসাবেও সারা বিশ্বে এরা সমাদৃত। মানুষের সঙ্গে থাকতে এরা খুব পছন্দ করে। তবে ঘরে একা রেখে গেলে এরা খানিকটা রেগে যায়। ঠিকমতো প্রশিক্ষণ পেলে এরা এক দিকে যেমন খুব ভালো ওয়াচডগ হয় তেমনই পরিবারের বিপদে নিজের প্রাণকেও উপেক্ষা করতে পারে।
৫) পেমব্রোক ওয়েল্শ কোরগিস: মজাদার এবং মিষ্টি স্বভাবের জন্য এই প্রজাতির কুকুর পোষার জন্য সকলেই পছন্দ করেন। খুবই লাজুক হয় এরা। বাচ্চাদের ভীষণ পছন্দ করে। মালিকের খুশীর জন্য সব কিছু করতে পারে। পোষার সময় একটা দিকে খেয়াল রাখতে হবে, এরা খাওয়ার সময় অন্য কোনও দিকে খেয়াল রাখে না। ফলে বেশী খেয়ে ফেলার প্রবণতা থাকে। এ ছাড়া তেমন কোনও সমস্যা নেই।
৬) ল্যাব্রেডর রিট্রিভার: বাড়িতে পোষার জন্য বিশ্বের অন্যতম প্রিয় কুকুর ল্যাব্রোডর। এরা যেমন বাধ্য, তেমনই বিশ্বাসী। তার সঙ্গে বাচ্চাদের সঙ্গ খুবই ভালোবাসে। এদের টেম্পারও খুবই ভালো। চালাক-চতুর স্বভাবের দৃষ্টিহীন এবং অটিস্টিকদের ক্ষেত্রে এদের গাইড ডগ বা সার্ভিস ডগ হিসাবে এদের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।
৭) মিক্সড ব্রিড: যে কোনও ধরনের মিক্সড ব্রিড পুষতে পারেন। সাধারণত এরা খুবই ভালো টেম্পারের কুকুর হয়। পশু চিকিত্সকরা বলেন, জিনগত বিভিন্ন প্রজাতির অসুখ মিক্সড ব্রিড কুকুরদের থাকে না। দ্বিতীয়ত, যদি ইচ্ছাকৃত প্রশিক্ষণ দিয়ে এদের হিংস্র না তৈরী করা হয় তবে সাধারণত এরা খুবই বুদ্ধিমান এবং মানুষের সঙ্গেই থাকতে পছন্দ করে।