জিএসটি রিটার্ন জমায় স্বস্তি কাউন্সিলের
পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) কমানো নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। কিন্তু, শুক্রবার ছোট ব্যবসায়ীদের জিএসটি রিটার্ন জমায় খানিকটা স্বস্তি দিল জিএসটি কাউন্সিল। এ দিন কাউন্সিলের ৪০তম বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সাংবাদিকদের জানান, কর বাকি না থাকলে যাঁরা ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত রিটার্ন জমা দেননি, তাঁরা কোনও লেট ফি ছাড়াই ওই রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কর বাকি থাকলে জিএসটিআর-৩বি রিটার্ন জমা না দেওয়ার জন্য রিটার্ন পিছু মাসে ৫০০ টাকা লেট ফি দিতে হবে।’ আগে ওই লেট ফি মাসিক ১০,০০০ টাকা ধার্য করা হয়েছিল।
ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের জিএসটি রিটার্ন ছোট ব্যবসায়ীরা, যাঁদের বার্ষিক বিক্রির পরিমাণ ৫ কোটি টাকা বা তার কম, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দিলে লেট ফি’র উপর ১৮ শতাংশের জায়গায় ৯ শতাংশ সুদ দিতে হবে এবং মে, জুন ও জুলাই মাসের রিটার্ন সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দিলে কোনও লেট ফি ও সুদ দিতে হবে না।
কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান কনফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনসের প্রেসিডেন্ট সুশীল পোদ্দার। তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত আমরা খুশি।’
এ দিনের বৈঠকে জিএসটি আদায়ে করোনা-লকডাউনের প্রভাব নিয়েও আলোচনা হয় এবং ঠিক হয় রাজ্যগুলির জিএসটি ক্ষতিপূরণের বিষয়টি জুলাই মাসে কাউন্সিলের পরবর্তী বৈঠকে আলোচিত হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘লকডাউনের কারণে জিএসটি আদায় ৪৫ শতাংশে নেমে এসেছে। ফলে, রাজ্যগুলিকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ দেওয়ায় সমস্যা আরও জটিল হয়ে পড়েছে।’ রাজ্যগুলি প্রস্তাব দেয়, ওই ক্ষতিপূরণের সমপরিমাণ অর্থ বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য তাদের অনুমতি দেওয়া হোক। সীতারামন বলেন, ‘২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজ্যগুলিকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ খাতে মোট ১.৫১ লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কেবল মার্চ মাসের ১২,৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়নি।’
এর আগে চার দফা শর্তপূরণের সাপেক্ষে রাজ্যগুলিকে বাজার থেকে অতিরিক্ত ঋণ নেওয়ার অনুমতি দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। কিন্তু, বহু রাজ্যই ওই শর্তপূরণে অক্ষমতার কথা জানায়।