করোনা পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে না এসেই হবে পরীক্ষা
পড়ুয়ারা সশরীরে হাজির হবেন না। তা হলেও এই করোনা পরিস্থিতির কারণে তাঁদের চূড়ান্ত সেমেস্টার বা ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা বা মূল্যায়ন হবে। সেই সঙ্গে ইন্টার-মিডিয়েট বা অন্তর্বর্তী সেমেস্টারের পড়ুয়ারা এক ধাপ করে এগিয়ে গেলেও পরে তাঁদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে এখনই অ্যাকাডেমিক সেশন শুরু করার অবস্থা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। শনিবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁদের বৈঠকে সব রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা সর্বসম্মত ভাবে এই সব প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন।
এ দিনের বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা একত্রিত হয়েই সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণ করে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। তবে এ দিনের প্রস্তাবনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকার মেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যাবে। তিনি অনুমোদন দেওয়ার পরেই শিক্ষা দপ্তরের পরামর্শে বা উপদেশে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় সেনেট-সিন্ডিকেট ও কোর্ট-কর্মসমিতিতে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার কথা জানিয়ে দেবে। তবে ফাইনাল সেমেস্টার বা বর্ষের পরীক্ষা যে পদ্ধতিতেই হোক, ছাত্রছাত্রীদের চাকরির কথা ভেবে গোটা প্রক্রিয়াই ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করতে হবে।’
এ দিন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যের সাহায্যপ্রাপ্ত সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারদের বৈঠক হয়।
শিক্ষা দপ্তর সূত্রের খবর, মহানগরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বৈঠকে প্রস্তাব দেন, বিএ-বিএসসি ও স্নাতকোত্তরে ন্যূনতম মূল্যায়ন পদ্ধতি রাখতেই হবে। তা না-হলে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা ও চাকরিতে রাজ্যের পড়ুয়ারাই সমস্যায় পড়বেন। ওই উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী প্রস্তাব দেন, আগের সেমেস্টার বা বছরে (পার্ট ওয়ান-পার্ট টু) প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ৫০% করে নম্বর দেওয়া হোক।