উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি, দার্জিলিংয়ে ধসে পড়ল দু’টি বাড়ি

June 14, 2020 | 2 min read

উত্তরবঙ্গে চেনা ছন্দেই বর্ষা নামল। শুক্রবার থেকে উত্তরবঙ্গের জেলায় জেলায় বৃষ্টি নামে। দার্জিলিং জেলার পাহাড় ও সমতলেও রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি হয়। এদিকে পাহাড়ে ধস নেমেছে।

আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলাতেও এদিন দফায় দফায় বৃষ্টি হয়। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ রবিবার ও কাল সোমবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে।

শুক্রবারই উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢোকে। সিকিমের আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করেছে। এরফলে বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা উত্তরের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি সতর্কতা রয়েছে। গত ২৪ ‌ঘণ্টায় শিলিগুড়িতে ৬৯ মিমি, চম্পাসারিতে ৮৩ মিমি, সেভকে ১০৯ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

বর্ষা মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। ক্যুইক রেসপন্স টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে টানা বৃষ্টির জেরে শিলিগুড়ি শহরের লাইফ লাইন হিলকার্ট রোডে একটি টোটোর উপর গা‌ছ উপড়ে পড়ে। এর জেরে ব্যস্ত ওই রাস্তা সাময়িক বন্ধ হয়ে পড়ে যায়। পরে বনদপ্তর ও পুলিস এসে ‌গাছটি সরিয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে। অন্যদিকে, পুরসভার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভানুনগরে মহানন্দা নদীর বিভিন্ন এলাকায় বাঁধে ফাটল দেখা যায়। বৃষ্টির জেরে পাহাড়ি নদী মহানন্দার জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় নদীপাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

অন্যদিকে, দার্জিলিংয়ের বুলডারা ও সিংতাম টি এস্টেটে ধসের কবলে পড়ে দু’টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে, জিং টি এস্টেটে একটি রাস্তাও ধস নেমে সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়। আলিপুরদুয়ার জেলায় শুক্রবার রাত থেকে বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জেলার সমস্ত নদীর বাঁধ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোথাও আপাতত বাঁধ ভাঙার সমস্যা নেই। তবে ভুটান পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টি হলে জেলার সংকোশ ও রায়ডাক নদীর জলোচ্ছ্বাসে অসম সীমান্তের কুমারগ্রামের বহু গ্রামে প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে।

আলিপুরদুয়ার সেচ দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রিয়ম গোস্বামী বলেন, অসংরক্ষিত এলাকায় প্রতিবারই সমস্যা হয়। এবার আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি। অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার জেলাতেও দফায় দফায় বৃষ্টির জেরে স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হয়। বর্ষা মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন। পরিস্থিতির উপর প্রশাসন ও সেচ দপ্তর নজর রাখছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#North Bengal, #heavy rainfall

আরো দেখুন