কৃষক বাজারের উদ্বৃত্ত জমিতে বেসরকারি পরিকাঠামোঃ ভাবনা রাজ্য সরকারের
করোনা লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। দেশের নানা প্রান্ত থেকে রাজ্যে ফিরেছেন কয়েক লাখ পরিযায়ী শ্রমিক। এই সব হাতে কাজ দিতে নানা উদ্যোগে কৃষিপণ্যের বিপণনকেও কাজে লাগাতে চাইছে রাজ্য সরকার। এর জন্য, বর্তমানে চালু কৃষক বাজারগুলিতে থাকা উদ্বৃত জমি বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কৃষি বিপণন দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সুনীল গুপ্ত সম্প্রতি এই ব্যাপারে জেলাশাসক এবং নিয়ন্ত্রিত বাজার কমিটির চেয়ারম্যানদের চিঠি দিয়েছেন।
সরকারের ভাবনা হল, উদ্বৃত্ত জমিতে বেসরকারি উদ্যোক্তারা পরিকাঠামো গড়ে তুলুক। সেখানেই যাতে কৃষকরা পণ্য বিক্রির সুবিধা পান। ফড়ে-দালালদের থেকে চাষিদের রক্ষা করতেই নিয়ন্ত্রিত বাজার চালু হয়েছিল। সম্প্রতি রাজ্য সরকার এক নির্দেশিকায় বাজার সমিতির কৃষকদের কাছ থেকে ফি আদায়ের ব্যবস্থা প্রতাহার করে নিয়েছে। ফলে নিয়ন্ত্রিত বাজারে গিয়ে পণ্য বিক্রির জন্য এখন চাষিদের কোনও ফি দিতে হয় না। ফি বাবদ বাজার কমিটিগুলির আয়ের অর্থ রাজ্য সরকারি মেটাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বছর দুয়েক আগে কৃষক স্বার্থে আরও একটি সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। আগে কৃষক কিংবা কৃষি বাণিজ্যে যুক্ত সংস্থাগুলিকে পণ্য বিক্রির জন্য প্রত্যেকটি বাজার থেকে পৃথক লাইসেন্স নিতে হত। এখন গোটা রাজ্য ব্যবসা করার জন্য একটি লাইসেন্স নিলেই চলে।
রাজ্যে এখন ১৮৬টি কৃষক বাজার আছে। এগুলির উদ্বৃত্ত জমি কী ভাবে কৃষি ব্যবসার প্রসারে ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে সম্প্রতি জেলাগুলির সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠক করেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। রাজ্য সরকার সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কৃষক বাজারের একাংশ অ্যাগ্রো বিজনেস ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্কে উন্নীত করা হবে। মুখ্যসচিব এই প্রকল্পের জন্য কৃষক বাজারের উদ্বৃত্ত জমি ব্যবহারের পরামর্শ দেন। সুনীল গুপ্ত জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে জেলা শিল্প কেন্দ্রগুলির জেনারেল ম্যানেজারদের অবহিত করা হয়েছে। তাঁদের বলা হয়েছে, উপযুক্ত উদ্যোগপতি খুঁজে বের করতে। শুধু সব্জি, ফসলই নয়, মাছ, ফলমূল এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যুক্ত শিপ্লকেও এর অন্তভুক্ত করতে বলা হয়েছে। ২২ জুনের মধ্যে কৃষি বিপণন দপ্তরের সচিব অভিনব চন্দ্রকে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।