বিদ্যুৎ আইনের বিরুদ্ধে বিরোধী ঐক্য চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই দেশের বিদ্যুৎ আইনে কেন্দ্রের প্রস্তাবিত বদলের বিরোধিতা করে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রের খবর, নরেন্দ্র মোদীর পাশাপাশি ওই চিঠি দেশের প্রায় এক ডজন অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী নেতাকেও পাঠিয়েছেন তিনি। সেই তালিকায় পঞ্জাব-রাজস্থান-ছত্তীসগঢ়ের মতো কংগ্রেসশাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা যেমন রয়েছেন, তেমনই আছেন অন্ধ্রপ্রদেশের জগন্মোহন রেড্ডি, তেলঙ্গনার কে চন্দ্রশেখর রাও, ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেনের মতো অকংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীও। চিঠি গিয়েছে তামিলনাড়ুর বিরোধী নেতা তথা ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিনের কাছেও।
তৃণমূল সূত্রে দাবি, দু’মাস আগে এই একই ভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা তুলে ধরে ১৮ জন অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন মমতা। তাতে এ বিষয়ে কেন্দ্রের উপরে চাপ তৈরি যেমন সম্ভব হয়েছিল, তেমনই কিছু ক্ষেত্রে সম্ভব হয়েছিল সুরাহার রাস্তা খোঁজা। এই সঙ্কটের সময়ে ফের সেই রাস্তায় হাঁটতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী।
একই সঙ্গে দলীয় সূত্রে খবর, এর মাধ্যমে সনিয়া গাঁধী-সহ কংগ্রেসকেও বার্তা দিতে চেয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, এই কঠিন সময়ে, যখন দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বার বার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে, তখন অন্তত বিরোধীদের একজোট হওয়ার সময়ে বিভিন্ন রাজ্যে তাদের প্রশাসনিক প্রধানদের বৈঠকে ডাকাটা জরুরি। এর আগে বিরোধীদের বৈঠকে কংগ্রেসের তরফে সনিয়া এবং রাহুল গাঁধী থাকলেও, দলের কোনও মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না। কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্ব চান, কিছু দিনের মধ্যেই বিরোধীদের ফের যে বৈঠক হওয়ার কথা, সকলকে ডাকা হোক সেখানে। কারণ, পঞ্জাব, রাজস্থানের মতো কংগ্রেসশাসিত রাজ্যের কোনও সমস্যা নিয়ে কথা উঠলে, সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী যত বিশদে সে বিষয়ে বলতে পারবেন, তা আর কারও পক্ষে বলা শক্ত।
শুধু তা-ই নয়। হালে করোনা সামলাতে মোদীর ব্যর্থতা নিয়ে বার বার সরব হচ্ছেন রাহুল। এই অবস্থায় ওই চিঠির পিছনে সম্পূর্ণ বিরোধী শিবিরের নেতা হিসেবে মমতাকে তুলে ধরার চেষ্টাও রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।