দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

নৌকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অভিনব উদ্যোগ শান্তিপুরে

June 16, 2020 | 2 min read

শান্তিপুরের ফেরিঘাটের নৌকায় উঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য যাত্রী আসনে বসল টেডি বিয়ার। অভিনব এই উদ্যোগে খুশি যাত্রীরা। বিশেষ এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে শান্তিপুরের গুপ্তিপাড়া ঘাটের ভাগীরথী নদীর ফেরি পরিষেবায়। লকডাউনে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ১ জুন থেকে চালু হয়েছে শান্তিপুর-গুপ্তিপাড়া ফেরি পরিষেবা। প্রথমদিকে যাত্রী না হলেও সপ্তাহ খানেক পর থেকেই যাত্রী সংখ্যা বাড়তে থাকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয় লঞ্চে সামাজিক দূরত্ব মেনে যাত্রীদের বসাতে হবে। কিন্তু নৌকার কর্মীদের অভিযোগ, কিছু সংখ্যক যাত্রীকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও সামাজিক দূরত্ব না মেনে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বসে পড়ছিলেন। এর পরেই ফেরিঘাট কমিটির পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে নৌকার ভিতরে যাত্রী বসার একটি আসন অন্তর একটিতে টেডি বিয়ার আঠা এবং দড়ি দিয়ে বেঁধে বসিয়ে দেওয়া হয়। কর্মীদের দাবি এতে ফল মিলেছে অদ্ভুতভাবে। এখন আর যাত্রীরা চাইলেও গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বসতে পারছেন না। এইবার যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই বসতে হবে দুটি টেডি বিয়ারের মাঝখানে। ফেরিঘাট কমিটির এই উদ্যোগে খুশি যাত্রীদের একটা বড় অংশ। এক যাত্রী বলেন, ওনারা সামাজিক দূরত্ব মানার জন্য যে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন, সেটা সত্যি ভালো। ফেরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত এক কর্মচারী বলেন, সরকার থেকে বলা হয়েছিল এই পরিস্থিতিতে চল্লিশ জনের বেশি যাত্রী একবারে নেওয়া যাবে না। কিন্তু আমাদের ফেরিতে এখন একবারে জনা কুড়ি লোক হলেই ছেড়ে দিচ্ছি। আগে একটা নৌকা চলত, এখন দুটো চলছে।

নৌকায় সামাজিক দূরত্ব

নদীয়া জেলার শান্তিপুর থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা এবং হুগলি জেলার গুপ্তিপাড়া যাওয়ার জন্য মূলত তিনটি ফেরিঘাট রয়েছে। শান্তিপুর পুরসভা পরিচালিত সেই ঘাটগুলি হলো শান্তিপুর, নৃসিংহপুর এবং গুপ্তিপাড়া ঘাট। এদের মধ্যে নৃসিংহপুর এবং গুপ্তিপাড়া ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার হয়। কল্যাণী এবং নবদ্বীপের মাঝে ভাগীরথী নদীর ওপর শান্তিপুরের কাছাকাছি কোথাও ব্রিজ না থাকায় দুই জেলার সঙ্গে অন্যতম যোগাযোগের মাধ্যম ফেরি সার্ভিস। ফেরি চলাচলের সময় আপাতত সকাল ছয়টা থেকে রাত দশটার পরিবর্তে সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত করা হয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পরিষেবা চালু হওয়ায় কর্মী থেকে যাত্রী সকলেই খুশি হয়েছেন। ঘাটমালিক বলেন, সমস্ত ভাড়া অপরিবর্তিত রেখে, পরিবহনমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল যাত্রীদের পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিয়ে যাওয়ার। তাই ফেরিঘাটে পারাপারের সময় যাত্রীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া, থার্মাল স্ক্রিনিং করা এবং পরিশেষে একজনের পাশে অন্যজনকে বসতে না দেওয়ার উপায় হিসেবে টেডি বিয়ার ব্যবহার করা হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Shantipur, #social distance

আরো দেখুন