রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের রেশন বিলি আজ থেকে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আজ, মঙ্গলবার থেকে সারা রাজ্যে ঘরে ফেরা শ্রমিকদের রেশন বিলি শুরু হচ্ছে। রাজ্য খাদ্য দপ্তর সূত্রের খবর, প্রত্যেক শ্রমিক মাসে পাঁচ কেজি করে চাল ও এক কেজি করে গোটা ছোলা পাবেন। জুন ও জুলাই, এই দু’মাসের জন্য এই বিশেষ রেশন পাবেন ভিন রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকরা। তার জন্য নির্দিষ্ট ফর্মে তাঁদের আবেদন করতে হবে। জেলায় ডিএম এবং কলকাতায় পুর-কমিশনার এই শ্রমিকদের শনাক্ত করবেন। তার ভিত্তিতে অস্থায়ী কুপন ইস্যু করা হবে। রাজ্যে প্রায় সাড়ে ন’লক্ষ শ্রমিককে বিনামূল্যে এই রেশন দেওয়া হবে।
এরই মধ্যে বছর দু’য়েক আগে রেশনে চাল সরবরাহের নামে চাল না-দিয়ে খাদ্য দপ্তর থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে হাবড়ার ফেরার এক চালকল মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রেশনে কোনও রকম দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। তার পরেই কঠোর পদক্ষেপ শুরু করেছে প্রশাসন।
আবার আজ থেকেই রেশন দোকান মারফত কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া ডাল বিলির কাজও শুরু হচ্ছে রাজ্যে। এই ডাল না-দেওয়া নিয়ে টুইটে এর আগে রাজ্যের সমালোচনা করেছিলেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় খাদ্য সুরক্ষা যোজনার আওতায় থাকা রেশন গ্রাহকরা এপ্রিল, মে ও জুনের বরাদ্দ হিসাবে মাথাপিছু এক কেজি করে ডাল পাবেন। কিন্তু এর ফলে রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনার অধীনে থাকা গ্রাহকরা বঞ্চিত হতে পারেন, এই আশঙ্কায় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেহেতু অন্য রাজ্যে দেওয়া হচ্ছে না তাই বাংলার জন্যও অতিরিক্ত বরাদ্দ সম্ভব নয়।
এ সবের মধ্যেই রেশনে চাল সরবরাহের নামে সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে এক চালকল মালিককে গ্রেপ্তার করেছে হাবড়া থানার পুলিশ। প্রায় দু’বছর ধরে তিনি পুলিশের খাতায় ফেরার ছিলেন। কৃষকদের থেকে ধান কেনার নাম করে রাজ্য খাদ্য দপ্তর থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকার চেক তুলে ভাঙিয়েছেন এই চালকল মালিক। কিন্তু বিনিময়ে চাল সরবরাহ করেননি। বার বার তাগাদা দিয়েও টাকা উদ্ধার করতে পারেনি খাদ্য দপ্তর। সরকারি টাকা আত্মসাতের জন্য ২০১৮-র এপ্রিলে খাদ্য দপ্তর হাবড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তার আগেই মিল বন্ধ করে বেপাত্তা হন রাজদীপ রায় নামে ওই চালকল মালিক। গত রবিবার বিকেলে নারায়ণপুর থানা এলাকা থেকে তাঁকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।