ফুলের রসেই লুকিয়ে আছে সৌন্দর্যের গোপন রহস্য
আজকালকার বিলাশবহুল প্রসাধনীগুলিতে বিভিন্ন ফুলের কথা উল্লেখ থাকে। কিন্তু সবার গুণাগুণ বিস্তারিত বলা থাকে না। তাই নিজের ত্বকের জন্য ঠিক কোন প্রোডাক্ট সঠিক, অনেকেই তা বুঝতে পারেন না।
ভুল প্রোডাক্ট দিয়ে রূপচর্চা করলে ফল হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই কোন ফুলের কি গুণাগুণ তা জেনে তবেই ব্যবহার করা উচিত।
গোলাপ
ত্বককে প্রাণবন্ত রাখতে সাহায্য করে গোলাপ।রক্ত সঞ্চালনকে স্বাভাবিক করে। এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকে বলিরেখা পড়া আটকায়। গোলাপ জল বা গোলাপের রস দিয়ে তৈরি ক্রিম বা মাস্ক ত্বকে খুব উপকারী।
ল্যাভেন্ডার
এসেনশিয়াল অয়েল হিসাবে এর ব্যবহার হয় সবচেয়ে বেশি। সবরকম ত্বকের জন্যই ল্যাভেন্ডার উপযোগী। ল্যাভেন্ডার ত্বকের পরিশ্রান্তভাব দূর করে। এটি অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্টপূর্ণ হওয়ায় ফেস মাস্ক এবং ক্রিম তৈরিতে এই ফুলটি ব্যবহার করা হয়।
ক্যামোমিল
এতে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি ফাঙ্গাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর ফলে ত্বকে স্থিতিস্থাপকতা বজায় থাকে। লালচেভাব কমায় এবং ত্বককে বলিরেখা থেকে রক্ষা করে।
জবা
ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে ও ত্বকের সঠিক রং ধরে রাখতে এর জুড়ি নেই। ত্বকের প্রয়োজনীয় তেলের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখে জবা। ত্বককে এজিং থেকে রক্ষা করতে এর রস ব্যবহৃত হয়। চুলের তেল তৈরিতে জবা ব্যবহার করা হয়। চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
জুঁই
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি এজিং ট্রিটমেন্টের জন্য জুঁই ব্যবহার করা হয়। মৃত কোষগুলিকে সরিয়ে ত্বককে উজ্জ্বল করে। তাই এটি বেশ কয়েকটি সৌন্দর্যের পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।