লাদাখ সংঘর্ষে ভারতের মৃত বেড়ে ২০, আরও বাড়ার আশঙ্কা
লাদাখের গালোয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সেনার সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছে বলে এএনআই সংস্থা দাবি করেছে। রাত ১০টা নাগাদ সংস্থার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গুরুতর জখম কমপক্ষে ১৭।
সোমবার রাতে গালোয়ান উপত্যকায় অতর্কিতে ভারতীয় সেনার উপর আক্রমণ চালায় চিনের সেনা। ভারতীয় সেনার তরফে এ দিন জানানো হয়, পারস্পরিক শান্তি চুক্তি মেনে সেনা সরিয়ে আনা হয়। সেনা সূত্রে খবর, গোলাগুলি নয়, পাথর, রড নিয়ে হামলা চালায় চিনের জওয়ানরা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। চিনের তরফে দাবি করা হয়েছে, তাদের ৫ জওয়ান নিহত হয়েছে।
সকালে খবর ছিল, সংঘর্ষে শহিদ হন ভারতীয় সেনার এক আধিকারিক ও ২ জওয়ান। এরপরই চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত, স্থল-বায়ু-নৌ সেনার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। প্রধানমন্ত্রীকেও ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়। এ দিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন রাজনাথ সিং।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তাব বলেন, সীমান্তের নিয়ম অনুযায়ী এলএসির ভেতরেই রয়েছে ভারত। আমাদের আশা চিনও সেটাই করবে। ভারত চায় এলাকায় শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখতে। যে সমস্যা রয়েছে তা আলোচনার মধ্যমে মিটিয়ে ফেলা হবে। পাশাপাশি, ভারতের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপোস করা হবে না।
বেশ কিছুদিন ধরেই লাদাখের প্যাংগন লেক ও গালওয়ান উপত্যকায় দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে। এনিয়ে দুদেশের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে ঠিক হয়, শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে নেওয়া হবে।
সোমবার সকালে দুদেশের ব্রিগেডিয়ার পর্যায়ে বৈঠক হয়। তরা পর রাতে ওই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে। প্রসঙ্গত, আগেই ঠিক হয়েছিল, দুদেশ তার বর্তমান অবস্থান থেকে দু কিলোমিটার পিছিয়ে আসবে। সঙ্গে সমস্যা নিরসনে আলোচনা চলবে।