করোনা আক্রান্ত রোগীদের মাথাপিছু খাবারের বরাদ্দ বেড়ে ১৫০ টাকা
করোনা আক্রান্ত রোগীদের পাতে দু’ বেলা-ই বরাদ্দ হল মাছ-মাংস। করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য সারাদিনের খাবারের বরাদ্দ বাড়াল রাজ্য সরকার। আজ এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, মাথাপিছু প্রতিদিন ১৫০ টাকার খাবার পারেন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করোনা আক্রান্ত রোগীরা।
করোনা আক্রান্ত রোগীদের খাবারের মান খারাপ। পরিমাণে কম। এসব নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। এবার রাজ্য সরকার করোনা আক্রান্ত রোগীদের খাবারের বরাদ্দ বাড়িয়ে দিল। করোনা আক্রান্ত রোগীদের খাবারের জন্য প্রতিদিন ১৫০ টাকা করে ধার্য করা হয়েছে। সেই টাকায় কীভাবে কী কী কখন খাওয়াতে হবে, সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে তা স্পষ্ট বলে দেওয়া হল। বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলিতে। যেখানে নোভেল করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে কিংবা উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের চিকিৎসা চলছে।
বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, সকালে কী কী খাবার কত পরিমাণ দিতে হবে। দুপুরের খাবারে ভাত কত গ্রাম চালের থাকবে, ডাল কত গ্রাম থাকবে, মাছ বা মাংসের ওজন কত গ্রাম হবে। সেইসঙ্গে দুপুরে সবজি ও দই-ও দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়। একইভাবে বলা হয়েছে, রাতে রুটি অথবা ভাত, রোগী যেটা পছন্দ করবেন। তার সঙ্গে আরও কী কী দেওয়া হবে, তাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এককথায় করোনা হাসপাতালে আরও উন্নতমানের খাবার দেওয়ার নির্দেশ সরকারের। পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত রোদীদের দেওয়া হবে প্যাকেটজাত খাবারও।
একনজরে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য সরকারের বরাদ্দ খাবারের মেনু:
ব্রেকফাস্ট : ৪টি রুটি, ১টি করে ডিম, কলা, দুধ।
লাঞ্চ : ভাত ১০০ গ্রাম চালের, ডাল ৫০ গ্রাম, সবজি, মাছ/মাংস ৯০-১০০ গ্রাম এবং দই।
ডিনার : ভাত, রুটি, ডাল, সব্জি, মাছ।
এপ্রসঙ্গে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ আশিষ মান্না বলেন, “আমরা যা খাবার দিচ্ছিলাম সেখানে পুষ্টির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। সরকার বরাদ্দ বাড়ানোয় আমাদের পক্ষে আরও ভালো খাবার সরবরাহ করা সম্ভব হবে। আমরা পরিমাণ বজায় রেখেই সেই মান আমরা আরও বাড়াচ্ছি।” কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই বেশি করে খাবার দিচ্ছিলাম। পুষ্টি এবং মানের দিকে নজর দিয়েছিলাম। সরকার বরাদ্দ বাড়িয়েছে রোগীদের যাতে আরও সুন্দরভাবে রাখা যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই। আমরা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি আরেকটু বেশি খাবার ও বেশি মানের দিকে নজর রেখেছি। রোগীদের আমরা মিনারেল ওয়াটার দিচ্ছি আলাদা করে। সবদিক বিবেচনা করে আমরা রোগীদের যতটা সম্ভব ভালো রাখা যায় সেই চেষ্টা-ই করছি।”