করোনা টেস্টে নাইসেডকে পিছনে ফেলে প্রথম উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল
পুরনো যন্ত্র আর অদম্য জেদই সম্বল। তাতেই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানকে কয়েক যোজন দূরে ফেলে দিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ভাইরোলজি রিসার্চ অ্যান্ড ডায়গনস্টিক ল্যাবরেটরি। ১২ জুন প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যের সমস্ত ল্যাবরেটরিকে পিছনে ফেলে করোনা সংক্রমণ নির্ণয়ে সবচেয়ে বেশি লালারসের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। তৃতীয় স্থানে নাইসেড।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজ তথা নাইসেডে যেখানে ৩১ হাজার ৬৩৬ জনের করোনা টেস্ট হয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে টেস্টের সংখ্যা ৪২ হাজার ৯৩০। নাইসেডের নমুনা পরীক্ষার যন্ত্র অনেক অত্যাধুনিক। তাদের অটোমেটেড রিয়্যাল টাইম পিসিআর যন্ত্রে দিনে দেড় হাজার পরীক্ষা করা সম্ভব। সেখানে উত্তরবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের পুরনো যন্ত্রে মোটে ১২০টি করে নমুনা পরীক্ষা হতে পারে। তবে তাতে কী? রিসার্চ সায়েন্টিস্ট টেকনিশিয়ানরা রাতদিন এক করে দিয়েছেন। লক্ষ্য একটাই। যত বেশি সম্ভব টেস্ট করাতে হবে।
উল্লেখ্য, নাইসেডে টেস্ট শুরু হয়েছে অনেকদিন আগে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ এই কাজে নেমেছে ২৯ মার্চ। লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য যে কিটের প্রয়োজন ছিল প্রথমে তা ভুল আসে। ফের ফেরত পাঠিয়ে নতুন কিট আনাতে হয় উত্তরবঙ্গে। আপাতত টেস্টের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পিজি হাসপাতাল। সেখানে এখনও পর্যন্ত টেস্ট হয়েছে ৩৫ হাজার ৬৬৬ জনের। নাইসেডের পরেই রয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ। সমস্ত জায়গাতেই আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে টেস্ট হচ্ছে। পিছিয়ে নেই বেসরকারি ডায়গনস্টিক সেন্টারও। ২৪ এপ্রিল থেকে শুরু করে সুরক্ষা ডায়াগনস্টিক সেন্টারও ১৩ হাজার ১১৯ জনের টেস্ট সম্পন্ন করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড টেস্ট হয়েছে ৮৭৫৮ জনের। এখনও পর্যন্ত মোট টেস্টের পরিমাণ ৩ লক্ষ ১৫ হাজার ৬৯৯।