কোন প্রাণীগুলো কখনোই একসঙ্গে পোষা ঠিক হবে না?
যেখানে একজনের বেয়াদবি সহ্য করতে করতেই জীবন শেষ হয়ে যায় সেখানে একত্রে দুইটি ভিন্ন প্রজাতির পোষ্য পোষাটা বেশ কষ্টসাধ্য। তাও আপনি যদি পশুপাখিপ্রেমী হয়ে থাকেন তবে পড়ুন কোন কোন প্রাণী একসঙ্গে পোষা বিপজ্জনক।
বেড়াল এবং পাখিঃ সাধারণত বেড়াল তার খাবারের সাথে কখনো বন্ধুত্ব করতে পারে না। তাই ছোট পাখি দেখলেই বিড়াল তেড়ে যায়। তবে অনেকেই বেড়ালকে প্রশিক্ষণ দিয়ে পাখির সাথেই রাখেন। তবে এটা না করাই ভালো।
বেড়াল এবং ইঁদুরঃ আমাদের দেশে বেশীরভাগ যারা ইঁদুর পোষেন, তারা বিদেশী সাদা ইঁদুরই পোষেন। বেড়ালের আক্রমণাত্মক ভাবের কারণে একই ছাদের নিচে ইঁদুর না পোষা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
বেড়াল এবং সারমেয়ঃ এদের একত্রে পোশা উচিত কিনা এই ব্যাপারে নানা মুনির নানা মত। বেড়াল এবং সারমেয় একত্রে রাখলে এমনটা হতে পারে তাদের খুব বন্ধুত্ব হলো বা, এমনও হতে পারে তারা সামনাসামনি এলেই শুরু হয় মারামারি। তাই, একসঙ্গে না পোষাই ভালো।
দুটি হ্যামস্টারঃ হ্যামস্টার তার আরেক হ্যামস্টার বন্ধুর সাথে খেলার চেয়েও তাকে কামড়াতে পছন্দ করবে বেশী। হ্যামস্টারের দাঁত অনেক বেশী সূঁচালো। তাই যদি আপনার একের বেশী হ্যামস্টার থাকে তবে তাদের আলাদা আলাদা রাখুন।
খরগোশ এবং গিনিপিগঃ এই দুই প্রাণী দেখতে প্রায় একইরকম। কিন্তু খরগোশ এক ধরণের ব্যাক্টেরিয়া বহন করে যা গিনিপিগের রেসপিরেটরি সিস্টেমে অসুখ বাধায়। এছাড়াও খরগোশ গিনিপিগকে আক্রমণ করতে ভালোবাসে।
সরীসৃপ এবং অন্য যে কোনো প্রাণী: বেশীরভাগ সরীসৃ্প সালমোনেলা নামক ব্যাক্টেরিয়া বহন করে যেটা যে কোনো প্রাণীর জন্য খারাপ।
বড় পাখি এবং ছোট পাখিঃ সাধারণত আকারে বড় পাখিগুলো ছোট পাখিদের নিজেদের খাবার মনে করে। আর এই কারণে বড় (যেমন ম্যাকাও) পাখির সাথে ক্যানারি না রাখাই উচিত।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ অনেকক্ষেত্রেই এর ব্যতিক্রম দেখা যায়। যেমন অনেকে বেড়াল এবং লাভ বার্ডস একত্রে পোষেন। অনেকেই বেড়াল এবং সারমেয় একত্রে রাখেন। এসব ক্ষেত্রে যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল এদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। আপনি যদি ভাল প্রশিক্ষক হন, তবে অবশ্যই এই প্রানীগুলোকে একত্রে পুষতে পারবেন।