পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ কেন্দ্রের, মিলবে বাড়ির কাছেই কাজের সুবিধা
লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক। দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোগাড় করতে না পেরে বাড়ি ফিরে যেতে হয়েছে তাঁদের। এই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের বন্দোবস্ত করতে এ বার পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার ‘গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান’ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর আওতায় দেশের ছয়টি রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থানের কথা বলা হলেও, এই তালিকায় বাংলার কোনও উল্লেখ নেই।
শনিবার বিহারের খগড়িয়া জেলার তেলিহার গ্রামে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। সশরীরে তাতে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার মোদী। ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে তাতে যোগ দেন আরও পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও। সেখানেই ভিডিয়ো কনফারেন্স করে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানান, আর পরিবার ছেড়ে দূরে যেতে হবে না পরিযায়ী শ্রমিকদের। বাড়ির কাছেই তাঁদের কাজের বন্দোবস্ত করা হবে।
‘গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান’ প্রকল্পের জন্য মোট ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এর আওতায়, আগামী ১২৫ দিনে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং রাজস্থান—এই ছয় রাজ্যের ১১৬টি জেলায় পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের বন্দোবস্ত করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এত দিন নগরোন্নয়নে যুক্ত ছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। এ বার গ্রামোন্নয়নের কাজে হাত লাগাবেন তাঁরা। বাড়ির কাছে তাঁদের কাজের ব্যবস্থা করা হবে।’’
নোভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ সামাল দিতে গত ২৪ মার্চ দেশ জুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একটানা দু’মাসব্যাপী সেই লকডাউনের পর সম্প্রতি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও, এখনও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মহীন অবস্থায় রয়েছেন লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক। তা নিয়ে লাগাতার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে আসছেন বিরোধীরা। তার মধ্যেই এ দিন এই প্রকল্পের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।