বেসরকারি স্কুলে ফি বৃদ্ধি নিয়ে শিক্ষক অভিভাবকদের মধ্যে ধুন্ধুমার
বেসরকারি স্কুলে ফি বৃদ্ধি সংক্রান্ত নানা বিষয়ে অভিভাবকদের বিক্ষোভ, প্রতিবাদের বিরোধিতায় সরব হচ্ছেন একাধিক স্কুল কর্তৃপক্ষ, নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান এবং স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। কলকাতার বিশপ সোমবারই চার্চ অফ নর্থ ইন্ডিয়ার অধীনে থাকা মহানগরের শতাব্দী প্রাচীন ১৩টি স্কুলে চলতি শিক্ষাবর্ষে কোনও ফি বাড়ানো হয়নি বলে জানিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন। শনিবার লেক গার্ডেন্সের এ কে ঘোষ মেমোরিয়াল স্কুল ও পিকনিক গার্ডেনের সারদা এডুকেয়ারের শিক্ষকরা অভিভাবকদের ফি বাড়ানো ও মকুবের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। এ দিকে, ডিপিএস রুবি পার্ক লকডাউন পর্বে পড়ুয়াদের ত্রৈমাসিক টিউশন ও সেশন ফি এবং বাস ভাড়া অনেকটাই মকুব করেছে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচ হাজার টাকারও বেশি ফি কমানো হয়েছে।
এ কে ঘোষ মেমোরিয়ালের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, ১২ জুন অভিভাবকরা ফি ‘বৃদ্ধি’র দাবিতে যে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তা যুক্তিযুক্ত নয়। স্কুলে এ বছর ফি বৃদ্ধিই হয়নি। তার পরও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শাখার একদল অভিভাবক লেক গার্ডন্সে ওই স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান। কয়েকজন বিক্ষোভকারী খারাপ ভাষায় শিক্ষকদের নামে স্লোগানও দেন। তবে রফা বৈঠকে দেখা যায়, তাঁদের অধিকাংশ অভিযোগই ঠিক নয়। স্কুলের এক শিক্ষিকা এ দিন বলেন, ‘শনিবার আমরা সেই অপপ্রচার ও সত্যের উপর আলোকপাত করেছি মাত্র। ফি নিয়ে কারও উপর কোনও চাপ দেওয়া হয়নি।’ একই ভাবে সারদা এডুকেয়ারের অভিভাবকরা এ দিন ফি মকুবের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে এলে তাঁদের সঙ্গে শিক্ষকদের বাদানুবাদ হয়। অভিভাবকদের দাবি ছিল, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন। অভিভাবকদের বিক্ষোভের পাল্টা শিক্ষকরা দাবি জানান, তাঁরা লকডাউনের সময় পড়ুয়াদের পড়াশোনা সংক্রান্ত সব রকম পরিষেবা দিয়েছেন। সরকারি ভাবে স্কুল খুললে শনিবার-সহ অন্য ছুটির দিনে ক্লাস নিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে দেবেন। তার পর এই বিক্ষোভ অর্থহীন।