শহিদ জওয়ান বিপুল রায়ের স্মৃতিতে রক্তদান, স্থানীয়দের বিপুল সাড়া
ইন্দো-চিন সীমান্তে সংঘর্ষে শহিদ হন আলিপুরদুয়ারের সেনা জওয়ান বিপুল রায় । বিপুল ছাড়াও রাজ্যের আরও এক জওয়ানও শহীদ হয়েছেন। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে । গোটা দেশজুড়ে চিনা সামগ্রী বয়কটের ডাক উঠেছে । বিপুল রায় মীরাটে কর্মরত ছিলেন। মাস খানেক আগেই বদলি হন লাদাখ সীমান্তে । মীরাটেই থাকতেন তাঁর স্ত্রী ও ছ’বছরের কন্যা । কিছু দিনের মধ্যেই তাঁর গ্রামের বাড়িতে ফেরার কথা ছিল । ফিরে এলেন । কিন্তু কফিনবন্দী হয়ে !
বীর যোদ্ধাকে দেখতে সেদিন গোটা গ্রাম ভেঙে পড়েছিল । আজ শহিদ জওয়ানকে স্মরণ করল শিলিগুড়ির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন । শহিদের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করার পর এক মিনিটি নীরবতা পালন করা হয় । এর মধ্য দিয়েই শেষ হয়নি । আজ বিধাননগর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্যরা শহিদের স্মৃতিতে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে । এগিয়ে আসে ফুলবাড়ির পঞ্চানন বর্মা মেমোরিয়াল ক্লাব । যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত রক্তদান শিবিরটি হয় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ফুলবাড়ির রহমুজোত এলাকায় । রক্ত দিতে এগিয়ে আসেন গ্রামের মানুষেরা ।
একেই করোনা আতঙ্কে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একের পর এক রক্তদান শিবির । যার জেরে ক্রমেই রক্তের সংকট সৃষ্টি হচ্ছে জেলা হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল কলেজের ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে । আর তাই এই উদ্যোগ বলে জানান ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সম্পাদক বাপন দাস । শিবিরের উদ্বোধন করে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের বিরোধী দলনেতা কাজল ঘোষ বলেন, ভাল উদ্যোগ । এ দিনের শিবির থেকে ৪০ ইউনিট রক্ত সংগৃহীত হয়েছে । সংগৃহীত রক্ত তুলে দেওয়া হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের হাতে ।
উদ্যোক্তা ক্লাবের সম্পাদক পরিমল সিংহ জানান, শহিদ বিপুল রায় আমাদের উত্তরবঙ্গেরই ছেলে । দেশের জন্যে তিনি প্রাণ দিয়েছেন । তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যেই এই শিবিরের আয়োজন । স্থানীয় বাসিন্দারা আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন । এ দিকে রক্তদাতাদের হাতে চারা গাছ তুলে দেওয়া হয় উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে । চারদিকে সবুজ ধ্বংসের ছবি । তাই এই ভাবনা বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা ।