ইন্দো-চিন সমস্যায় সরব আমেরিকা, রাহুলের টুইট-খোঁচা
কাশ্মীর নিয়ে মাঝেমাঝেই তিনি এমন প্রস্তাব দিয়ে থাকেন, এ বার চিন নিয়ে দিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বললেন, ভারত-চিনের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে রাজি। তাঁর বক্তব্য, খুব কঠিন সময় চলছে। ভারত এবং চিন, দুই দেশের সঙ্গেই কথা চালাচ্ছে আমেরিকা। দেখা যাক কী করা যায়।
ওকলাহোমায় নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার আগে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘খুব কঠিন সময়। ভারতের সঙ্গে কথা বলছি আমরা। চিনের সঙ্গেও কথা হচ্ছে। খুব বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে। মুখোমুখি সংঘর্ষ হচ্ছে দু’পক্ষে। এই পরিস্থিতি যাতে ওরা কাটিয়ে উঠতে পারে, সে জন্য সব রকম সাহায্য দিতে আমরা প্রস্তুত। কতটা হয় দেখা যাক!’
আসলে শুরু থেকেই ভারতের পক্ষ নিয়ে আসছে মার্কিন সরকার বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা। সেটা চিনের সঙ্গে আমেরিকার দ্বন্দ্বের কারণেই। তাই গোটা সংঘর্ষের পিছনে চিনের জমি দখলদারির নীতির দিকেই আঙুল তুলেছে ওয়াশিংটন। মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়ো শুক্রবার বলেন, ‘চিনই পায়ে পা দিয়ে ঝামেলা বাধিয়েছে। দক্ষিণ চিন সাগরের সামরিকীকরণের পাশাপাশি বেআইনি ভাবে সেখানে জমিও দখল করে চলেছে তারা।’
আমেরিকা যখন মধ্যস্থতার কথা বলছে, তখন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি ও সাংসদ রাহুল গান্ধী মোদীকে এ দিন ফের আক্রমণ করেছেন। এদিন ‘জাপান টাইমস’ নামে একটি জাপানি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন টুইট করে রাহুল প্রধানমন্ত্রীকে ‘সারেন্ডার’ মোদী বলে কটাক্ষ করলেন। ওই প্রতিবেদনটিতে ভারতের বিদেশনীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে ভারতের চিন নীতিকে কাঠগড়ায় তুলে ‘জাপান টাইমস’-এর প্রতিবেদক দাবি করেছেন, নরেন্দ্র মোদী চিন সরকারকে তুষ্ট করে চলার চেষ্টা করছেন। সেই প্রতিবেদনকে হাতিয়ার করেই রাহুল গান্ধী দাবি করলেন চিনের কাছে ‘সারেন্ডার’ করেছেন মোদী।
এর প্রতিবাদে বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষী লেখি বলেন, ‘রাহুল গান্ধী চাইনিজ় প্রোপাগ্যান্ডা চালাচ্ছেন।’ তাঁর কথায়, ‘মাঝে মাঝে যা দেখা যায় তা সত্যি নয়… আর যা দেখা যায় না তা? … এটাই চিনের সব থেকে বড় প্রোপ্যাগান্ডা হ্যান্ডেল।’