শ্রীলেখার বিস্ফোরণের পর এবার মুখ খুললেন শাশ্বত
সম্প্রতি টলিউডের নোপোটিজম নিয়ে শ্রীলেখা মিত্রের একটি বিতর্কিত ভিডিয়ো ঝড় তুলেছে টেলিপাড়ায়। সেই ভিডিয়োতে তিনি তাঁর কাজ না পাওয়ার জন্য আঙুল তুলেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর দিকে। শ্রীলেখার এই ভিডিয়োর প্রেক্ষিতে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত মুখ খুললেও কিছু বলতে নারাজ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। শ্রীলেখার ভিডিয়োর প্রেক্ষিতে কিছু বাস্তব প্রশ্ন তুলেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ও।
স্বস্তিকা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘যখন কোন অভিনেত্রী কোন পরিচালকের সঙ্গে এক বা একের বেশি ছবি করে তখন বলা হয় সে শুয়ে বা প্রেম করে কাজটা পেয়েছে। বেশ। তাহলে একজন পরিচালক যখন দিনের পর দিন একই সিনেম্যাটোগ্রাফার, অভিনেতা এবং মিউজিক ডিরেক্টরদের নিয়ে কাজ করেন, তখনও কি তাঁরাও শুয়ে কাজ পেয়েছেন’?
শ্রীলেখার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এবার মুখ খুললেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। অনীক দত্তর ‘আশ্চর্য প্রদীপে’ শাশ্বতর স্ত্রীয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন শ্রীলেখা। শাশ্বতর কথায়,’আমাদের যাবতীয় নেগেটিভিটি থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন। আর সেই মানসিকতা যাতে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকেও নজর দিতে হবে। শাশ্বত আরও বলেন, এই কঠিন সময়ে আমাদের সকলেরই হতাশা আসতে বাধ্য। অবসন্ন হওয়া খুব স্বাভাবিক, কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে এই নেতিবাচকতা আমরা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারি না। প্রতিটি পেশায় এরকম লোক রয়েছে যাঁরা আপনার বিরুদ্ধচারণ করবে। কিন্তু এই মানসিকতা একদম মনের মধ্যে পুষে রাখবেন না। এতে কাজের ক্ষতি হয়। এরকম মনে হলে অবশ্যই সেই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন’।
শাশ্বত আরও বলেন,’ শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে হওয়া সত্ত্বেও আমাকে বহু পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে। একটি ছবিতে নায়কের সঙ্গে আমার একটি দৃশ্য ছিল। ডাবিং এর পর দেখলাম বেমালুম তা বাদ দিয়ে দিতে হল। আমি বাবার মতো সুঠাম চেহারা পাইনি। অভিনয়ের প্রতি আমার আগ্রহ ছিল। তাই এই পেশা বেছে নিয়েছি। বাবা শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় হওয়ার পরও কোনও সুবিধে পাইনি।
এমনও হয়েছে দুবছর আগে আমাকে একটি চিত্রনাট্য শোনানো হয়েছিল। পরে দেখছি অন্য কেউ সেই ভূমিকায় অভিনয় করেছে আর সিনেমাও হয়ে গিয়েছে’। আমি শ্রীলেখাকে বলব, এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে। কারণ আশ্চর্য প্রদীপের ওই দৃশ্যটিতে এমন নিংড়ে অভিনয় শ্রীলেখাই পারেন। এভাবে মান-অভিমান পুষে রাখলে জীবনে বাঁচা অসম্ভব।