রাজ্যের সম্মতি পেলে জুলাই থেকেই চলবে লোকাল ট্রেন
রাজ্য সরকারের সম্মতি পেলে আগামী জুলাই মাস থেকে রাজ্যে শহরতলির লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু করবে রেল। তেমনই রেল মন্ত্রক সূত্রের খবর।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সারা দেশে শহরতলির লোকাল ট্রেন এবং অন্যান্য নিয়মিত মেল এক্সপ্রেস ট্রেন বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। তার পরে সরকারি নির্দেশিকা এলে যে কোনও দিন পরিষেবা শুরু করতে হতে পারে ধরে নিয়ে শিয়ালদহ এবং হাওড়া ডিভিশনে লোকাল ট্রেন চালানোর যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখা হচ্ছে। পূর্ব রেলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ট্রেন চালানোর নির্দিষ্ট দিনক্ষণ এখনও জানানো হয়নি। রাজ্য সরকার এবং রেল মন্ত্রকের নির্দেশ পেলে যাতে দ্রুত পরিষেবা শুরু করা যায় তার প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে।’’
শিয়ালদহ ডিভিশনের বিভিন্ন ট্রেনে স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি দিন প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। হাওড়াতে ওই সংখ্যা ২০ লক্ষের কাছাকাছি। স্বাভাবিক অবস্থায় কোন স্টেশনে যাত্রীসংখ্যা কেমন থাকে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে রেলরক্ষী বাহিনী (আরপিএফ) এবং রেল-পুলিশকে (জিআরপি) ভিড় নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যবহার করা হবে বলে পরিকল্পনা করা হয়েছে। দূরত্ববিধি বজায় রাখতে লোকাল ট্রেন আগের মতো বিপুল সংখ্যায় যাত্রী পরিবহণ করা সম্ভব হবে না, বলছেন রেল কর্তারা। কামরায় ভিড় এড়াতে বেশি যাত্রী হয় এমন স্টেশনগুলি থেকে বিশেষ গ্যালোপিং ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা তৈরি রাখা হচ্ছে।
স্বাভাবিক অবস্থায় এক একটি ১২ কামরার লোকাল ট্রেনে প্রায় দেড় হাজার যাত্রী যাতায়াত করতেন। তবে, করোনা পরিস্থিতিতে ট্রেনগুলিতে তার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চালানো হতে পারে বলে খবর।
করোনা আবহে শহরতলির ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ সতর্কতা মেনে চলার কথা বলেছে রেল মন্ত্রক। সরকারি নির্দেশ মেনে রেল স্টেশন এবং ট্রেনের কামরায় ভিড় এড়ানোর পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। ভিড় এড়াতে স্টেশনগুলিকে সম্পূর্ণ হকারমুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। প্রত্যেক স্টেশনে টিকিট কাউন্টার ছাড়াও ঢোকা এবং বেরোনোর পথগুলিকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। দূরত্ব বিধি মেনে টিকিট কাউন্টারে যাত্রীদের দাঁড়াতে হবে। স্টেশনে প্রবেশের আগে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে যাত্রীদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হবে। কোনও যাত্রীর করোনা-উপসর্গ চোখে পড়লে তাঁকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হবে না। যাত্রীদের ক্ষেত্রে মাস্ক পরাকেও বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।