অনলাইন ক্লাসের পক্ষেই সায় ৬৪% বাবা-মায়ের, বলছে সমীক্ষা
করোনাভাইরাসের কালবেলা। লকডাউনের জেরে ক্লাসরুম তালাবন্ধ থাকায় বাড়িতে বসে অনলাইন পড়াশোনাই একমাত্র উপায়। এমন পড়াশোনা নিয়ে স্কুলের বহু পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকরা সন্তুষ্ট। তবে ছেলেমেয়েরা এই নতুন আঙ্গিকে পড়াশোনা সত্যিই কতটা বুঝতে পারছে অথবা কতটা ঠিকঠাক শিখছে, তা নিয়ে প্রবল ধন্দে মা-বাবারা। সে কারণে এমন অনলাইন ক্লাস চালানো হবে কি না তা নিয়ে একটা বিতর্ক চালু হয়েছে অভিভাবকদের মনে।
লোকাল সার্কেলস নামে এক সংস্থা এ প্রশ্ন নিয়ে দেশের প্রায় ২০৪টি জেলায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। আর সেই সমীক্ষায় উঠে এসেছে, অভিভাবকদের ৬৪ শতাংশ চাইছেন এমন অনলাইনে পড়াশোনা হোক। তবে ৩১ শতাংশ বাবা-মা চাইছেন এটা বন্ধ হয়ে সাধারণ ভাবে স্কুলের ক্লাসরুমে বসেই শিক্ষা চলুক ছেলেমেয়েদের। বাকিদের কোনও মতামত নেই।
ইতোমধ্যেই কর্নাটক, মহারাষ্ট্র ও মধ্য প্রদেশে অনলাইন ক্লাস বন্ধ করা হয়েছে ক্লাস ফাইভ ও তার নীচের ক্লাসের পড়ুয়াদের জন্য। সোমবার কর্নাটকের হাইকোর্ট সরকারকে জিগ্গেস করেছিল, এর কোনও একটি সুরাহা করতে। যদিও মানবসম্পদ উন্নয়কমন্ত্রকের তরফে এখনও কোনও গাইডলাইন ইস্যু করা হয়নি। অনলাইন ক্লাসই চলবে নাকি ক্লাস খোলা হবে তা কেউই জানেন না এখনও।
৩১ শতাংশ অভিভাবক চান অনলাইন ক্লাস বন্ধ করা হোক। ৪৯ শতাংশ অভিভাবকের মতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট করা হোক ২ ঘণ্টা করেই অনলাইনে ক্লাস। ১৫ শতাংশের মতে, প্রতিদিন স্কুলে যেমন ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা ক্লাস হয়, তেমনই করা হোক। অনেক রাজ্য সরকারই প্রাইমারি ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনলাইন ক্লাসের গুরুত্ব দেখতে পাচ্ছে না। এতে শৈশবে বেশি চাপ পড়বে বলে মত তাদের। এরই সঙ্গে আরও একটি সমস্যা যে, সমাজের সব স্তরের মানুষের কাছে ইন্টারনেট পরিষেবা নেই।
কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল আগেই বলেছেন, পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে ১৫ আগস্টের পরে ভারতের স্কুল খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। স্কুল চালু হলে, মাস্ক ও নিজস্ব হ্যান্ড স্যানিটাইজার আবশ্যক। শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম রাখতে হবে। দুরত্ব বজায় রাখার মতো স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কঠোর নির্দেশিকা মেনে স্কুল শুরু করতে হবে। এইচআরডি মন্ত্রী জানিয়েছেন যে এই নির্দেশিকাগুলি এনসিইআরটি তৈরি করেছে।