দুঃসময়ে রাজকোষের ঘাটতি মেটাল মুখ্যমন্ত্রীর ই-রেজিস্ট্রেশনের উদ্যোগ
লকডাউনের দুঃসময়ে রাজকোষে ঘাটতি মেটাল ই-রেজিস্ট্রেশন। মূলত, জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাটসহ সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশনে এই অনলাইন প্রক্রিয়া চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই উদ্যোগ দু’দিক দিয়েই সফল। এক, লকডাউন পিরিয়ডে বাড়ির বাইরে না বেরিয়ে মানুষ সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন। কোনওরকম হ্যাপা পোহাতে হয়নি তাঁদের। দুই, রাজ্যের কোষাগার সমৃদ্ধ হওয়ায় স্বস্তি পেয়েছেন অর্থ দপ্তরের কর্তারা। ফলত, ই-রেজিস্ট্রেশনের এই সাফল্য আর হাতছাড়া করতে চায় না রাজ্য। লকডাউন শিথিল কিংবা পুরোপুরি উঠে যাওয়ার পরও ই-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেই অর্থদপ্তর।
গত ১৬ এপ্রিল অনলাইন রেজিস্ট্রেশন চালুর কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সময় নষ্ট করেনি অর্থদপ্তর। ২০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে যায় রেজিস্ট্রেশন। লকডাউন পর্বে ই-রেজিস্ট্রেশনে বাংলাই প্রথম পথ দেখায়। জানা গিয়েছে, গত দু’মাসে রাজ্যে মোট ১১৫টি সম্পত্তির ই-রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। রাজস্ব বাবদ কোষাগারে আয়ও হয়েছে বেশ কয়েক কোটি টাকা। কোভিড, লকডাউন, উম-পুন সামাল দিতে এই অর্থের খুব প্রয়োজন ছিল। কারণ, ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষে রেজিস্ট্রেশন বাবদ কোষাগারে এসেছিল পাঁচ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। কিন্তু লকডাউন শুরু হওয়ায় সেই আয় প্রায় তলানিতে ঠেকে। কোভিডের মোকাবিলায় বেশ কিছু জরুরি কাজ করতে গিয়ে চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। ই-রেজিস্ট্রেশন থেকে প্রাপ্ত অর্থ সেই অবস্থা অনেকটাই সামলে দিয়েছে বলে মত অর্থদপ্তরের কর্তাদের।
অর্থ দপ্তর সূত্রে খবর, গত ২০ এপ্রিল থেকে ২০ জুন। এই দু’মাসে যত সম্পত্তির ই-রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, তার সিংহভাগই ফ্ল্যাট কিংবা বাড়ি। রেজিস্ট্রেশনের শেষে অনলাইনেই ই-ডিডও পেয়েছেন উপভোক্তারা। এখন রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে মূল দলিল সংগ্রহ করছেন। আনলক-ওয়ান পর্বেও রেজিস্ট্রেশনের চিরাচরিত প্রথার সঙ্গেই চালু থাকছে অনলাইন প্রক্রিয়া। সবমিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ই-গভর্ন্যান্স প্রক্রিয়ায় নতুন পালক সম্পত্তির ই-রেজিস্ট্রেশন।