বর্ণবিদ্বেষের জের, বদলালো ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’ নাম
‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’ ইউনিলিভার সংস্থার এক জনপ্রিয় প্রসাধনী দ্রব্য এটি। কিন্ত এই প্রসাধনী দ্রব্যের নামেই লুকিয়ে আছে বর্ণবিদ্বেষ। তাই নিয়ে অনেকদিন ধরেই শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। আর সেই নিয়ে বৃহস্পতিবার ইউনিলিভার সংস্থার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, এই দ্রব্যের নাম থেকে ‘ফেয়ার’ শব্দটি বাদ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। নতুন নামের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে অনুমতি পেলেই নাম পাল্টে ফেলা হবে।
Beauty & Personal Care–এর প্রেসিডেন্ট সানি জৈন জানিয়েছেন, ‘আমরা সমস্ত ধরনের ত্বকের রং ও সৌন্দর্যের প্রতি সম্মান রেখেই একটি জাতীয় স্তরের প্রসাধনী দ্রব্য তৈরি করতে চাই। আমাদের মনে হয়েছে, ‘ফেয়ার’, ‘হোয়াইট’, ‘লাইট’, এই ধরনের শব্দগুলি একই ধরনের সৌন্দর্যের সংজ্ঞা তৈরি করে। তাই আমরা এই সমস্যা মেটাতে চাই।’
সারা পৃথিবীতে যখন তোলপাড় তৈরি করেছে বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী আন্দোলন, তখন সেই সূত্র ধরেই কেতাবী সৌন্দর্যে শ্বেতাঙ্গ হওয়ার প্রবণতা এককথায় বর্ণবিদ্বেষকে উস্কানি দেওয়া বলেই মনে করা হচ্ছে। আর সে কারণেই সারা পৃথিবীতে ফেয়ারনেস ক্রিমের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। তবে তাঁরা সকলেই বলছেন, শুধু নাম পাল্টে ফেললে হবে না, পাল্টাতে হবে বাণিজ্যকরণ, বিজ্ঞাপনের ভাষাও। না হলে বিষয়টি একই থেকে যাবে। এমনকি পার্লারে গিয়ে ফর্সা হওয়ার যে আকাঙ্খা ও বিজ্ঞাপনে তার ব্যবহার, সেটিও বদলাতে হবে সমাজের ধারণা পাল্টাতে হলে।