কলকাতা বিমানবন্দরে চিনা পণ্য খালাসে নিষেধাজ্ঞা
চিনের বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র সরকার। সূত্রের খবর, কলকাতা-সহ দেশের সমস্ত বিমানবন্দর ও পোর্টে চিনা পণ্য খালাসে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কাস্টমস। লাদাখে চিনা (China) আগ্রাসনের জবাবেই এই পদক্ষেপ।
‘Air Cargo Agents’ Association of India’ এবং ‘cargo managing committee’-র সদস্য জয়দীপ রাহা জানিয়েছেন, কাস্টমসের তরফে পণ্য খালাসে জড়িত সমস্ত আধিকারিকদের অভ্যন্তরীণভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁরা যেন চিন থেকে আসা পণ্য খালাস না করেন। যে পণ্যে ইতিমধ্যে ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছে সেগুলিকেও যেন খালাস না করা হয়। সমস্ত পণ্য ফের পরীক্ষা করে খালাস করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কলকাতা (Kolkata) ছাড়াও মুম্বই ও চেন্নাই বিমানবন্দর ও পোর্টে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে ৩৫ কোটি টাকা মূল্যের ৪০ টন চিনা পণ্য কলকাতায় আটকে রয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দর হয়ে চিন থেকে আসা ১৮ হাজার টন পণ্যের ৬৫ শতাংশই চিন থেকে আমদানি করা। এগুলির মধ্যেই বেশিরভাগই হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক্স বস্তু, কাপড়, সুগন্ধি দ্রব্য, যন্ত্রাংশ ও প্লাস্টিকের বস্তু। লকডাউন চলাকালীন হংকং, শেনঝেন-সহ চিনের অন্যান্য প্রান্ত থেকে পিপিই কিট নিয়ে একাধিক বিমান কলকাতায় আসে। কার্গো বিভাগের এক আধিকারিকের কথায়, চিনা পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হলে সাময়িকভাবে কিছুটা ক্ষতি হবে কলকাতা বিমানবন্দরের।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই অর্থনীতির ময়দানে বেজিংকে কুপোকাত করতে৩ হাজার চিনা পণ্য বয়কট করার ডাক দিয়েছিল ‘The Confederation of All India Traders’ (CAIT)। বয়কট করা জিনিসের এই তালিকায় রয়েছে–টেক্সটাইল, বিল্ডার হার্ডওয়্যার, ফুটওয়্যার, গারমেন্টস, রান্নাঘরের জিনিস, লাগেজ, হ্যান্ড ব্যাগ, কসমেটিক্স , গিফট, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র ইত্যাদি। বর্তমানে চিন থেকে ভারতে প্রতি বছর ৫ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি করা হয় ৷ ভারতে সস্তা জিনিসের বাজারের কথা মাথায় রেখে এই পণ্য বিক্রি করা হয়৷ ২০২১ সালের মধ্যে চীন থেকে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার পণ্য আমদানি কমিয়ে ফেলার লক্ষমাত্রা নিয়েছে সংগঠনটি।