শিলিগুড়িতে করোনা মোকাবিলায় ৮ সদস্যের সুপার স্পেশালিস্ট টিম গঠন
করোনার কামড় শিলিগুড়িজুড়ে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে স্বাস্থ্য কর্তা থেকে জেলা প্রশাসন। মোকাবিলায় কি পদক্ষেও নেওয়া হবে? তা ঠিক করতেই বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জরুরী বৈঠকে বসেন করোনার উত্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্তা সুশান্ত রায়। উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিংয়ের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, মেডিক্যালের প্রিন্সিপাল, সুপার, শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার-সহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধানেরা। ক্রমবর্ধমান গ্রাফে চিন্তিত স্বাস্থ্য কর্তারা।
সেইসঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। মোকাবিলায় ৮ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে গঠিত হয় সুপার স্পেশালিস্ট টিম। কে কে থাকছে এই টিমে? স্বাস্থ্য কর্তা জানান, গ্যাস্ট্রো এনকেলোজিস্ট, নিউরো মেডিসিন, নিউরো সার্জেন্ট, নেফ্রোলজিস্ট, কার্ডিয়োলজিস্ট, অর্থোপেডিক, সাইক্রিয়াটিক, এনডোফেনোলজিস্টরা থাকবেন। যখন প্রয়োজন হবে এই টিম এগিয়ে আসবে। কেননা কোভিডের সংক্রমণে নানা রোগের লক্ষণ দেখা যায়। এছাড়া কাওয়াখালির কোভিড স্পেশাল হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটও শক্তিশালী করা হবে। আরও বেশি করে চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান নিয়োগ করা হবে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই শূন্য পদ পূরণ করা হবে। তবে তাঁর দাবি, গোষ্ঠী সংক্রমণ এখোনও হয়নি। আক্রান্তের সঙ্গে প্রাথমিক সংস্পর্শেই সংক্রমণ বাড়ছে।
১৫ নং ওয়ার্ডের এক ব্যক্তি লালা রসের নমুনা রিপোর্ট আসার আগে এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ড ঘুরে বেড়িয়েছেন। মার্কেট থেকে ব্যাঙ্ক গিয়েছিলেন। মিটিং, আন্দোলন করেছেন। পরে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁর পরিবারেরও বেশ কয়েকজন আক্রান্ত। তাই তাঁর আর্জি, করোনার উপস্বর্গ থাকলে কোয়ারেন্টাইনে থাকাটাই আবশ্যিক। নইলে শিলিগুড়িকে বাঁচানো যাবে না। আর মৃত্যুর হার বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তাঁর যুক্তি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একেবারে শেষ মূহূর্তে ভর্তি করা হচ্ছে কোভিড হাসপাতালে। চিকিৎসার সময় পাওয়া যাচ্ছে না। তবুও সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। স্বাস্থ্য ভবন থেকেও চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়াল-সহ স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্যে পর্যাপ্ত করোনা প্রতিরোধক কিট আনা হয়েছে। অন্যদিকে জেলাশাসক এস পুন্নমবালাম জানান, কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এক এক করে বাজার বন্ধ করা হচ্ছে।