উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

জাতীয় সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তি নিত্যযাত্রীদের

June 27, 2020 | 2 min read

রায়গঞ্জের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ভয়ঙ্কর যানজট যাত্রীদের কাছে আতঙ্ক হয়ে উঠেছে। শুধু রায়গঞ্জবাসী নয় দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের সংযোগকারী জাতীয় সড়কের এই যানজট দূরপাল্লার যাত্রী থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। সমস্যা সমাধানে বাইপাস নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। সেই কাজের কারণে নির্মাণ সংস্থার পাথর বোঝাই লরি নিকয়মিত যাতায়াত যানজট সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ। রাস্তা পাশে গাড়ি গুলি দাঁড়িয়ে থাকায় সমস্যা আরও বেড়েছে।

উল্লেখ্য, রায়গঞ্জ শহরের লাইফ লাইন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। অথচ এই সড়কে পাঁচ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে আধা ঘন্টার বেশি সময় লাগছে। যানজটের জেরে রায়গঞ্জ থেকে ডালখোলা যেতে সময় লাগছে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা। রাস্তায় বড় বড় যানবাহনের সঙ্গে ভ্যান, টোটো, অটো সবমিলিয়ে জট পাকিয়ে থাকছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন অফিসযাত্রী, কলেজ পড়ুয়া সহ নিত্যযাত্রীরা। সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না কেউই। যানজটের জেরে মুমূর্ষু রোগী নিয়ে মেডিকেল কলেজ যাতায়াতের পথে বহু অ্যাম্বুলেন্স ওই রাস্তায় আটকে পড়ে। ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের এই সমস্যা নিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। এই দীর্ঘ পথে বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক সিগন্যালের ব্যবস্থা থাকলেও সেগুলিই অনেক সময় বিরক্তির কারণ হয়ে উঠছে।

জাতীয় সড়কের বেহাল দশা

বাস চালক কমল সরকার বলেন, “যানজটের জেরে দূরপাল্লার বাস, লরি গুলি আটকে পড়েছে। প্রায় সব গাড়ি আটকে যাচ্ছে। কোনও কোনও দিন ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়”। এদিন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের করণদিঘী থানার বোতল বাড়ি এলাকায় দেখা গেল বেহাল রাস্তার কারণে পুলিশের গাড়ি রাস্তার মাঝে পড়ে রয়েছে। গর্তের মধ্যে চাকা আটকে যাওয়ায় দীর্ঘক্ষণ গাড়িটি দাঁড়িয়ে থাকে জাতীয় সড়কের উপরে।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল বলেন, “যখন একের পর এক রাজ্য সড়ক উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে, তখন জাতীয় সড়কের অবস্থা কঙ্কালসার। রায়গঞ্জে বিজেপির এমপি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও বেহাল রাস্তার হাল ফিরল না।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Rayganj, #National highway

আরো দেখুন