রাজ্য সরকারের অনুদান প্রত্যাখ্যান করল বেসরকারি বাস মালিকরা
শুক্রবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেসরকারি বাস-মিনিবাস মালিকদের ১৫ হাজার টাকা মাসিক অনুদান ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সেই ঘোষণার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই অনুদান গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়ে দিল পশ্চিমবঙ্গ বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাঁরা অনুদানের পরিবর্তে ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে অনড়। শনিবার ওই সংগঠনের সদস্যরা বেলঘরিয়াতে বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে তাঁরা সংবাদ মাধ্যমকে তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা জানান।
কারণ, তাঁদের যুক্তি লকডাউন কড়াকড়ি শিথিল হওয়ার পর বাস পরিষেবা চালু প্রতিদিন বাস পিছু দু-আড়াই হাজার টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। কিন্তু, সরকার ১৫ হাজার টাকা দিলে দিনে তা ৫০০ টাকা হয়। অর্থাৎ, সরকারি অনুদান গ্রহণ করলেও সম্পূর্ণ ক্ষতি লাঘব হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, লকলাউনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত কোনও বাসকে পুলিশ কেদ দিতে পারেনি বা জরিমানা আদায় করতে পারেনি। কিন্তু, সরকারি অনুদান দেওয়া শুরু হলে পুলিশি জুলুম শুরু হবে। দিনে প্রায় ৩০০-৫০০ টাকা দিতে হবে বলে তাঁদের অনুমান। তাহলে হিসাব করলে দেখা যাবে, সরকার দিনে ৫০০ টাকা দিলেও পুলিশের মাধ্যে সেই টাকা তুলে নেবে। আদতে বাস মালিকদের কোনও সুরাহা হচ্ছে না। এ কারণেই, তাঁরা সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছে। একই সঙ্গে যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে অনড় রয়েছেন।
সংগঠনের আরও দাবি, সরকারি বাস, বিশেষ করে ই সিরিজের বাসের মতো তাঁরাও শুধুমাত্র সিটিং ক্যাপাসিটি নিয়েই চলাচল করছে। কিন্তু ই সিরিজের বাসের মতো ভাড়া নিতে পারছেন না। তাঁদের প্রশ্ন, এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন হবে।
তবে, তাঁরা এই মুহূর্তে বাস পরিষেবা বন্ধ করছেন না। যতদিন তাঁদের সমর্থ থাকবে ততদিন পর্যন্ত বাস রাস্তায় নামাবেন। এ বিষয়ে আগামী সোমবার রেগুলারিটি কমিটির সঙ্গে ফের আলোচনায় বসবেন।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের হাতে বর্তমানে ১৭০০ টি বাস ও ৩০০ টি মিনিবাস রয়েছে। এই মুহূর্তে তাঁদের মাত্র ১০ শতাংশ বাস রাস্তায় চলছে বলেও তারা জানান।