লকডাউনে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে,দাবি এনবিএসটিসির
ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থাকে। লকডাউনের মাঝে ইসলামপুর ডিপো থেকে শিলিগুড়িসহ বিভিন্ন রুটে বাস চালাতে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি। শনিবার এনবিএসটিসি কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁদের জ্বালানি খরচই উঠছে না। যাত্রী না থাকায় আগের থেকে অনেক কম বাস রাস্তায় নামানো হচ্ছে। দিন দিন ক্ষতির বহর বাড়লেও সরকারি নির্দেশ মেনে যাত্রীদের সুবিধার্থে এনবিএসটিসি পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছে। একটি বড় বাসে ৪২টি আসন থাকে। তাতে গড়পড়তায় ১০ জন যাত্রীও প্রতি ট্রিপে মিলছে না।
এনবিএসটিসির ইসলামপুর ডিপো ইনচার্জ আশুতোষ দে বলেন, আমরা প্রতিদিনই রাস্তায় বাস নামিয়ে পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছি ঠিকই, কিন্তু তেলের টাকাই উঠছে না। সরকারি নির্দেশ আছে, তাই বাস চালাতে হচ্ছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বেরচ্ছেন না। তাই যাত্রী কমছে। তাছাড়া, এখন রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় অনেকেই ৩০-৪০ কিমি মোটর বাইক, স্কুটার চালিয়ে কর্মস্থলে কিংবা গন্তব্যে চলে যাচ্ছেন। তবে, আমরা করোনা ভাইরাস রুখতে সবরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বাস চালাচ্ছি। যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে আমরা বাসের সংখ্যাও বাড়াব।
মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস সরকারি, বেসরকারি বাস বন্ধ ছিল। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে রাজ্যে লকডাউন শিথিল হয়। ওই সময় থেকে রাজ্যের নির্দেশে এনবিএসটিসি কর্তৃপক্ষ বাস নামিয়ে যাত্রী পরিষেবা চালু করে। যদিও এখনও বেসরকারি বাস সেভাবে রাস্তায় দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। ক্ষতি হলেও সরকারি পরিবহণ সংস্থা এনবিএসটিসি গুটিকয়েক বাস চালিয়ে পরিষেবা চালু করেছে। কিন্তু তাতেও যাত্রী খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। হাতেগোনা কয়েকজন যাত্রী নিয়েই মাইলের পর মাইল যাচ্ছে এনবিএসটিসি’র বাস। যারফলে বাস চালিয়ে ডিজেলের খরচই এখন এনবিএসটিসি’র উঠছে না বলে ইসলামপুর ডিপো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, লকডাউনের আগে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৩০ মিনিট অন্তর ইসলামপুর -শিলিগুড়ি রুটে সরকারি বাস চালত। কিন্তু এখন সেখানে ৬টি এনবিএসটিসি বাস চালাচ্ছে। ইসলামপুর ডিপো সূত্রে খবর, আগে ডিপোর ১৬ টি বাস সারাদিনে দু’বার করে আসা ও যাওয়া করত। এখন সারাদিনে ১১টি বাস চলছে। তারমধ্যে রয়েছে ৪২ সিটের বাস রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতেও সরকারি নিয়মে বাসে কোনও যাত্রী দাঁড়িয়ে যেতে পারবেন না। করোনা পরিস্থিতিতেও সরকারি নিয়মে বাসে কোনও যাত্রী দাঁড়িয়ে যেতে পারবেন না। সবক’টি আসনেই যাত্রীরা বসে যেতে পারবেন। আগে দাঁড়িয়েও যাত্রীরা গোটা রাস্তা পেরতেন। ইসলামপুর ডিপো থেকে বেরনো এনবিএসটিসি বাসের চালক, কনডাক্টর দু’জনই পিপিই পরছেন। যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বাস ডিপোতে পৌঁছলে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে বলে দাবি ডিপো কর্মীদের ।