আরও ৩০০ ভেন্টিলেটর কিনছে রাজ্য
বাংলাকে করোনার সঙ্গে অনেকদিন যুদ্ধ করতে হবে। সেই আঁচ করছেন পোড়খাওয়া স্বাস্থ্যকর্তারা। প্রস্তুতিও চলছে সেইমতো। বিশেষত অন্য অসুখ থাকা বয়স্করা যাতে এই রোগের বলি না হন, সেজন্য চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতা। এই কারণে আরও ৩০০টি ভেন্টিলেটর কেনার বরাত দিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। কেনা হচ্ছে আরও ২০০টি হাই ফ্লো নেসাল ক্যানুলা। সাধারণ নেসাল ক্যানুলার মাধ্যমে যেখানে মিনিটে এক থেকে চার লিটার অক্সিজেন পাঠানো সম্ভব, সেখানে হাই ফ্লো ক্যানুলা মিনিটে ৩০ থেকে ৬০ লিটার অক্সিজেন পাঠাতে পারে। করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়লে শয্যাসংখ্যা যাতে সমস্যার কারণ না হয়, সেজন্য বিভিন্ন জেলাকে প্রয়োজন অনুযায়ী বেড বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। বলেছেন, যেখানে সুযোগ রয়েছে, সেখানে ১০০ শতাংশ শয্যাও বাড়ানো যেতে পারে। শনিবার স্বাস্থ্যভবনের এক পদস্থ সূত্র এ খবর জানিয়ে বলেছে, আইসিইউ বেডের সংখ্যা একপ্রস্থ বাড়িয়ে রাজ্যে ক্রিটিক্যাল কেয়ার শয্যা ৯৪৮ করা হয়েছে।
তা আরও বাড়ানো হবে। এতদিন বেসরকারি হাসপাতাল আলো করে থাকা কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র বা ইকমো এখন পিজি ছাড়াও মেডিক্যাল কলেজের জন্যও কেনা হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকরা আসার বেশ কিছুদিন পরও আক্রান্ত ও মৃতের পরিসংখ্যান কমবেশি একই জায়গায় ধরে রাখতে পেরেছে বাংলা। কিন্তু খবর এসেছে, করোনা ফের ক’মাস বাদে (নভেম্বর) নতুন রূপে জোরদার হানা দিতে পারে। তাই আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হচ্ছে। এদিকে, শিয়ালদহে রেলের বি আর সিং হাসপাতালে ভর্তি ন’জন রেলকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যান্য রোগ নিয়ে তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে দেহে উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষা করা হয়। ধরা পড়ে করোনা পজিটিভ। ন’জনকেই হাওড়া অর্থোপেডিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।