অবসাদ কাটাতে ম্যাজিকের মত কাজ করে মুরগীর মাংস
গোটা বিশ্বের জন্যই বর্তমান পরিস্থিতি বেশ কঠিন। করোনার থেকেও মানুষকে বেশী কাবু করেছে লকডাউন। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে মানুষ। কাজ নেই। বাড়িতে বসে থাকতে থাকতে চলে আসছে অবসাদ। এর ফলে অনেকেই ডিপ্রেশনে যাচ্ছেন। কিন্তু এর থেকে মুক্তির উপায় যে নেই, তা নয়। চিকিৎসকরা তো রয়েইছেন। কিন্তু বাড়িতে, একেবারে ঘরোয়া টোটকায় অসবাদ থেকে রেহাই পেতে পারেন।
কি খাবেন না?
এমন কোনও খাবার খাবেন না যা আপনার খারাপ লাগে। এতে মানসিক অবসাদ কমে না। এছাড়া দুধ, চিনি, কফি ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। আর যদি নিতান্তই এগুলো ছাড়তে না পারেন, তবে যতটা সম্ভব কম খান। বিশেষত চিনি খাওয়া এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করুন। এতে মনের পাশাপাশি শরীরও ভাল থাকে।
আপেল
দেহের কোষকে সুস্থ রাখতে আপেলের জুড়ি মেলা ভার। এর উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফর্মুলা কোষের অক্সিডেশন প্রতিরোধ করে। এর ফলে শরীর যেমন চাঙ্গা থাকে, মনও সুস্থ থাকে। এর মধ্যে যে ফাইবার রয়েছে, তাও অবসাদ কাটাতে সাহায্য করে।
শাক
হাই নিউট্রিয়েন্ট খাবারের কথা বললে প্রথমেই আসে বিভিন্ন ধরনের শাকের কথা। লেটুস, পুঁই শাক, পালং শাক ইত্যাদি ক্যানসার প্রতিরোধ করে। পাশাপাশি এটি মস্তিষ্কের উন্নতির ক্ষেত্রেও সহায়ক। নিয়মিত সবুজ শাক খেলে অবসাদ কেটে যায় বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
মুরগীর মাংস
অসুস্থ মানুষের ডায়েট চার্ট যখন চিকিৎসকরা তৈরী করেন, তখন তাতে অবশ্যম্ভাবীভাবে থাকে মুরগীর মাংস। অবশ্য তেল-মশলা মাখিয়ে খেতে তাঁরা বলেন না। খেতে বলেন চিকেন-স্টু। স্বাস্থ্য ফিরে পেতে এর মতো উপকারী ডিশ আর হয় না। ঠিক একইভাবে মুরগীর মাংস ডিপ্রেশন কাটাতেও ম্যাজিকের মতো কাজ করে। তবে এক্ষেত্রে শুধু স্টু নয়, বেশ কষিয়ে রান্না করে খেতে পারেন আপনি। এমনকি চাইলে কাবাব বানিয়েও খেতে পারেন।
টমেটো
টমেটোয় রয়েছে আলফা লিপোয়িক অ্যাসিড ও ফলিক অ্যাসিড। এই দুটোই ডিপ্রেশনের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। সমীক্ষা বলছে, যাঁদের ডিপ্রেশনে রয়েছে, তাঁদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ মানুষই ফলেট ডেফিসিয়েন্সিতে ভোগেন। দেহের হোমোসিস্টেনগুলিতে উদ্বুদ্ধ করতে সাহায্য করে ফলিক অ্যাসিড। ফলে ‘হ্যাপি কেমিক্যাল’ নিঃসরণ হয়। খুশী থাকে মানুষ। আর স্বাভাবিকভাবে ডিপ্রেশন কেটে যায়।
মাশরুম
মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে দু’ভাবে সাহায্য করে মাশরুম। প্রথমত এটি রক্তে ইনসুলিন লেভেল কমিয়ে দেয়। যা মুড ভাল রাখতে সাহায্য করে। আর দ্বিতীয়ত, এটি স্বাস্থ্য ভাল রাখে এমন ব্যকটেরিয়াগুলিকে কাজ করতে সাহায্য করে। তার ফলে মুড ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ভাল হয়ে যায়। এটিও ‘হ্যাপি কেমিক্যাল’ নিঃসরণে সাহায্য করে।
পেঁয়াজ
আদা, পেঁয়াজের মতো সবজি ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। কিন্তু জানেন কি এগুলি মুড ভাল করার ক্ষেত্রেও সমানভাবে উপকারী? এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফর্মুলা দেহ ও মন সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
জাম
এর মধ্যেও রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যাঁরা স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি বা কালোজাম নিয়মিত খান, তাঁদের মধ্যে অবসাদ অনেক কম। আর যাঁরা অবসাদের সময় খেতে শুরু করেছেন, তাঁদেরও অবসাদ অনেকটাই কমে যায়। এছাড়া জাম DNA পুনর্গঠনেও সাহায্য করে।
আখরোট
আখরোটে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা মস্তিষ্কে মুড বুস্টিং এফেক্ট হিসেবে কাজ করে। অনেক সমীক্ষায় ওমেগা ৩-এর সুবিধা সম্পর্কে বলা হয়েছে। এও বলা হয়েছে, অসবাদ কাটাতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে আখরোট। মস্তিষ্কে ৮০ শতাংশ লিপিড তৈরী করতে সক্ষম আখরোট। তাই তো দিদিমা-ঠাকুমারা বলেন আখরোট খেলে বুদ্ধি বাড়ে।