অনাক্রমতা বাড়াতে খান হলুদ, জিরে, গোলমরিচ ও তুলসী
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রুখে দিতে পারে করোনাকে। শরীর দুর্বল থাকলেই ধরবে ওই রোগ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা যায়। তার জন্য হাতের কাছেই রয়েছে হলুদ, জিরে, গোলমরিচ, তুলসী। এই ভেষজ উপাদানগুলির সাহায্যে শরীরকে নীরোগ রাখা যায়।
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ঈষদুষ্ণ দুধে এক গ্রাম হলুদ মিশিয়ে খেলে অ্যালার্জি ও জীবাণু সংক্রমণ ঠেকানোর ক্ষমতা বাড়ে। কাঁচা হলুদ বয়স অনুযায়ী আধ গ্রাম থেকে পাঁচ গ্রাম চিবিয়ে খেলে আরও বেশী উপকার হয়। যাঁরা শুধু হলুদ খেতে পারেন না, তাঁরা আখের গুড় দিয়ে খেতে পারেন। তবে ডায়াবেটিস থাকলে গুড় চলবে না।
হজমশক্তি বাড়লে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকখানি বেড়ে যায়। খাওয়ার পর আধ চামচ থেকে এক চামচ হালকা ভাজা জিরে খেলে হজমশক্তি বাড়ে, খিদে বাড়ে। গ্যাস–অম্বল কমে। ঘুম ভাল হয়। তরকারিতে গোলমরিচ দিলে বা গোলমরিচ যে কোনও উপায়ে খেলে হজমশক্তি বাড়ে।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে, ওজন অনুযায়ী আধ থেকে এক চামচ পর্যন্ত চ্যবনপ্রাশ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত, হালকা শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা নিয়মিত সকালে তুলসী, দারচিনি, শুকনো আদা, গোলমরিচ ফুটিয়ে চায়ের মতো করে খেলে খুবই উপকার পাবেন।
যে পরিমাণ তুলসী দেওয়া হবে, তার অর্ধেক দারচিনি, অর্ধেক শুকনো আদা এবং শুকনো আদার অর্ধেক গোলমরিচ দিতে হবে। এই মিশ্রণ করোনা সংক্রমণ ঠেকাতেও কাজে দেবে। ভিটামিন সি–এর জন্য খাওয়ার সময় একটুকরো পাতিলেবু বেশ ভাল কাজ করে।