নদী ভাঙনের ফলে চিন্তায় উত্তরবঙ্গের ক্ষুদ্র চা চাষিরা
ইসলামপুর মহকুমা দিয়ে বয়ে গিয়েছে মহানন্দা, ডোক, করতোয়া, বেরং দলঞ্চা, পিতানু, নাগর, সুধানী নদী। প্রতিবছর বর্ষায় নদী ভাঙন তীব্র আকার নেয়। এবছরও ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘরবাড়ি, আবাদি জমি ও চা বাগান ভাঙনের কবলে পড়েছে।
বিশেষ করে চোপড়া ও ইসলামপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় চা বাগান নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে। নদী ভাঙনের জেরে চোপড়ার একাধিক বড়ো ও ক্ষুদ্র চা বাগানের ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি চা চাষিদের। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানতে ইসলামপুরের মহকুমা শাসক অলংকৃতা পান্ডেকে ফোন করা হলে তিনি ফোন তোলেননি।
টেরাই ইন্ডিয়ান প্ল্যান্টারস অ্যাসোসিয়েশন (টিপা)-এর গর্ভনিং বডির সদস্য প্রবীর শীল জানান, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকে তাঁদের সংগঠনের সদস্যদের ৩৫টি বাগান রয়েছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর অনেক বেড়েছে। ফলে নদী তীরবর্তী এলাকায় অবস্থিত ৭টি চা বাগান ভাঙনের কবলে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আরও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁরা চান, ভাঙন মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা নিক রাজ্য সরকার ও টি বোর্ড।
উত্তর দিনাজপুর স্মল টি গ্রোয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবাশীষ পাল বলেন, ’ক্ষুদ্র চা চাষিদের অনেকেরই বাগান নদীর কাছাকাছি রয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় করতোয়া, নাগর, দলঞ্চাতে জল বেড়ে যাওয়ায় অনেকের বাগানে ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। তবে মোট ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব নয়।’
উত্তর দিনাজপুর জেলায় সেচ দপ্তরের এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার উত্তম হাজরা বলেন, ‘বেশ কিছু নদীর পাড় ভাঙার খবর পেয়েছি। তবে এখন আমাদের কিছু করার নেই। আমরা নদী বাঁধগুলি রক্ষণাবেক্ষণের ওপর জোর দিচ্ছি। আগামী দিনে নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’
এবিষয়ে টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রভাতকমল বেজবড়ুয়ার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে চা পর্ষদের ইসলামপুর দপ্তরের এক কর্মী জানিয়েছেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে।