করোনা আবহে বুধবার থেকে টেলি মেডিসিনের ব্যবস্থা রাজ্য সরকারের
করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীর কাছে বাড়িতেই চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বুধবার থেকে টেলি মেডিসিন ব্যবস্থা শুরু হচ্ছে রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার বলেন, ‘আপাতত আমরা ১২টি লাইন চালু করছি। আগামী দিনে সব জেলার জন্য পৃথক টেলি মেডিসিনের লাইন চালু করে দেওয়া হবে। প্রত্যেক জেলা কলকাতার সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের পরামর্শ মিলবে সেখানেই।’
রাজ্যে প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। টেলি মেডিসিন পরিষেবা এ রাজ্যে নতুন না-হলেও করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই রাজ্যবাসীর সহায় হওয়ার জন্য বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্পকে সাজানো হয়েছে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তা জানান, ‘যে কোনও অসুস্থতায় রোগীর পরিজন ফোন করলে টেলি মেডিসিনের মাধ্যমে আমাদের চিকিৎসকরা তাঁদের সমস্যা শুনে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। আমাদের উদ্দেশ্য হল, বাড়িতে রেখেই একজন সাধারণ রোগীর যতটা চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব, তা দেওয়ার। যাতে সেই ব্যক্তির সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমানো যায়।’
সোমবার রাজ্যজুড়ে কোভিড ওয়ারিয়ার ক্লাব চালু করার কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনার সংক্রমণ থেকে মুক্ত হয়ে উঠেছেন, এমন কোভিড যোদ্ধারা যাতে অন্য কোভিড আক্রান্তদের মানসিক ভাবে বা চিকিৎসা পরিষেবায় সহযোগিতা করতে পারেন, তার জন্যই রাজ্য জুড়ে শুরু হচ্ছে এই কোভিড ওয়ারিয়ার ক্লাব। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বহরমপুরে ৬০ জন করোনা-মুক্ত ব্যক্তি এই ক্লাবের সদস্য হয়েছেন। যাঁরা রাজ্যের তিন জেলায় করোনা মোকাবিলার কাজে (১০ জন মুর্শিদাবাদ হাসপাতালে, ১০ জন মালদহে এবং ৪০ জন কলকাতায়) যুক্ত হতে রাজি হয়েছেন। কোভিড আক্রান্তদের করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মনের জোর যোগানোর পাশাপাশিই কিছু সাধারণ পরিষেবা দেওয়ারও কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন মমতা। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁদের দিন পিছু ভাতা এবং থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করব আমরা। ইতিমধ্যেই যে ১২ হাজার মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাঁরাও অন্য করোনা আক্রান্তকে সাহায্য করতে চাইলে এই ক্লাবে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করছি। কোভিড থেকে যে ভালো হওয়া যায়, সেটা আপনারাই সবচেয়ে ভালো বোঝাতে পারবেন আক্রান্তদের।’