রাজ্যের স্কুল পাঠ্যক্রমেও এবার করোনা
রাজ্যের স্কুল স্তরের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে ‘করোনা’। আগামী শিক্ষাবর্ষেই প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ানো হবে ‘করোনা’। কীভাবে সারা বিশ্ব–সহ দেশ ও রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ল এই অতিমারী, এই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষার সুরক্ষাবিধি কী— সবই থাকবে পাঠ্যক্রমে। বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে পাঠ্যক্রম তৈরি করবে সিলেবাস কমিটি। যা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
ঠিক হয়েছে, প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির যে পাঠ্য বইটি প্রত্যেক পড়ুয়ার অবশ্যপাঠ্য, সে–বইয়ের শেষে করোনা–সম্পর্কিত কয়েকটি পাতা যুক্ত করা হবে। সে–ক্ষেত্রে বাংলা বা ইংরেজি বইয়ের শেষে কয়েকটি পাতা যোগ করা হতে পারে। তাতে ভাইরাসের কী উপসর্গ, কীভাবে এই ভাইরাস বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ল, এর হাত থেকে বঁাচতে কী কী সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে হবে, ভাইরাসের মোকাবিলায় দেশ ও রাজ্য সরকারের ভূমিকা, মারণ ভাইরাসের ফলে বিশ্বে কী অবস্থা তৈরি হল, দেশ ও রাজ্যে ভাইরাসের প্রকোপ কতটা, কী পরিস্থিতিতে লকডাউন শুরু হল, তার প্রভাব কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে পড়ল ইত্যাদি থাকবে। কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার বলেন, ‘কী লেখা হবে, তা নিয়ে চিকিৎসকদের মতামত নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রতিষেধক বেরিয়ে গেলে একরকম ভাবে লেখা হবে, না বেরোলে আরেক রকম। মূলত বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা এবং সুরক্ষাবিধির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।’ পড়ুয়াদের উপযোগী করেই লেখা হবে সবটা।
কমিটি সূত্রে খবর, করোনা–পরিস্থিতির ফলে যে–সঙ্কট তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পড়ুয়ারাও। মার্চ থেকে বন্ধ স্কুল। বাতিল হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বা স্কুল খুলবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় ভাইরাসটি সম্পর্কে কীভাবে পড়ুয়াদের সচেতন করা যায়, সিলেবাস কমিটিতে তা দেখতে বলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি। তার পরই কমিটি এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয়। বিষয়টির রূপরেখা তৈরি করতে স্কুল শিক্ষা দপ্তর, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে।