সোশ্যাল মিডিয়া কি মূল ধারার গণমাধ্যমের থেকে বেশী শক্তিশালী?
সারা বিশ্বেই এখন সোশ্যাল মিডিয়া শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। বিশ্বজুড়ে নানা দেশে এমনকি প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত করার ক্ষেত্রেও এটি বড় প্লাটফর্ম হয়ে উঠেছে।
সোশ্যাল মিডিয়া বিকল্প ধারা হিসেবে শুরু হয়েছিল। কিন্তু এটা বিকল্প মাধ্যম হিসেবে বিকশিত হচ্ছে নাকি গণমাধ্যমের সমান্তরাল হচ্ছে -এটা বলার জন্য কিছু সময় প্রয়োজন। তবে এর কাঠামো বিকল্প ধারার। সোশ্যাল মিডিয়া ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠছে এবং প্রভাব তৈরীর ক্ষমতা লক্ষ্য করার মত।
এই সোশ্যাল মিডিয়ার এমন উত্থানে নিকট ভবিষ্যতে মূল ধারার গণমাধ্যম যেমন সংবাদপত্র, টেলিভিশন , রেডিও ক্ষতিগ্রস্ত হবার কোনও সম্ভাবনা দেখছেন না অনেক বিশেষজ্ঞ।
তাঁদের বক্তব্য, এই মাধ্যমের সঙ্গে প্রযুক্তি জড়িত। ক্ষতিগ্রস্ত হবে না মনে হবার কারণ হলো এখানে আপনি হয়তো প্ল্যাটফর্ম পাল্টাচ্ছেন, হয়তো ফরম্যাট পাল্টাতে হচ্ছে। কিন্তু সংবাদতো আর পাল্টাচ্ছে না। সংবাদ পরিবেশনের যে রীতি, ভালো সাংবাদিকতার যে চাহিদা তা থেকেই যাচ্ছে।
তাঁরা আরও বলেন, পুরনো গণমাধ্যমগুলোও এই সুযোগ গ্রহণ করছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে, অনলাইনভিত্তিক মাধ্যম ব্যবহার হচ্ছে। ভবিষ্যত যেহেতু ওদিকে যাচ্ছে এবং চাহিদা যেহেতু ওইদিকে বাড়ছে, ব্যবহারকারী যারা তারা যখন ক্রমশ সামাজিক মাধ্যমের দিকে ঝুঁকছে এবং ওই মাধ্যমেই তারা খবর পড়তে চাইছেন- সুতরাং ক্ষতিগ্রস্ত হবার কোনও কারণ নেই।
অনেকের বক্তব্য, এই মাধ্যমে শেয়ারিং বা বিনিময়ের যে বিষয় রয়েছে সেটা অন্য মাধ্যমে সম্ভব নয়। এর একটা শিথিল সাংগঠনিক কাঠামো রয়েছে। এক কথায় এই মাধ্যম অনেক বেশী অংশগ্রহণমূলক। অ্যাক্টিভিজমের জন্য অনেক বেশী সহজ এবং ওই অর্থে অনেক বেশী গণতান্ত্রিক”।
তাঁদের কথা, একটি রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধান থেকে শুরু করে একজন সাধারণ মানুষ পর্যন্ত মত বিনিময়ের একটা অসাধারণ সুযোগ তৈরী করে দিচ্ছে। মানুষ নিজের মতামত জানাতে পারছে। ব্যবহারকারী বা জনগণের জন্য সুযোগ তৈরী করে দিচ্ছে। যে মাধ্যমে গণতান্ত্রিক কাঠামো বেশী পাওয়া যাবে সেটারই বেশী ভবিষ্যত থাকবে।