পাহাড়ে করোনা মোকাবিলায় ইউনিসেফের পার্টনার সেলেশিয়ান কলেজ
পাহাড়ে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে ইউনিসেফের জাতীয় প্রকল্পের পার্টনার হল সেলেশিয়ান কলেজ। কলেজের নিজস্ব রেডিও সেন্টারের মাধ্যমে ১ জুলাই থেকে নেপালি ভাষায় অভিনব সচেতনতা অভিযান শুরু হবে। প্রচার হবে কলেজের নিজেদের এফএম এবং ইউটিউব চ্যানেলেও। ইউনিসেফের বিশেষ দাযিত্ব পেয়ে খুশি কলেজ কর্তৃপক্ষ।
ন্যাকের মূল্যায়নে এ গ্রেড পেয়েছে সেলেশিয়ান কলেজ। ইতিমধ্যেই একাধিক বিশেষ প্রকল্পে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) আর্থিক অনুদান পেয়েছে তারা। ২০১২ সালে কমিউনিটি রেডিও স্টেশন তৈরির জন্য কলেজকে ইউজিসি ২০ লক্ষ টাকা অনুদান দেয়। ওই বছরই ওয়ারলেস অপারেশনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ২০১৬ সালে সোনাদার গোড়াবাড়ি গ্রামে ছহাজার ৫০০ ফুট উচ্চতায় চালু হয় কলেজের কমিউনিটি রেডিও স্টেশন। ইউজিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর-পূর্ব ভারতের একমাত্র সেলেশিয়ান কলেজেরই নিজস্ব রেডিও স্টেশন আছে। লকডাউনে ছাত্রছাত্রীদের সমস্যার কথা ভেবে ১ মে থেকে রেডিও লেসন শুরু করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এবার করোনা মোকাবিলার প্রচারের দায়িত্ব সামাজিকস্তরে কলেজের সম্মান বৃদ্ধি করল বলেই মত রেডিও স্টেশনের ডিরেক্টর সি এম পলের।
লিসন টু মাই রেডিও নামে ৯০.৮ এফএমেও প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত্রি ৮টার মধ্যে সচেতনতামূলক সম্প্রচার শোনা যাবে। পল জানিয়েছেন, তাঁদের কোভিড-১৯ সম্প্রচারের নাম দেওয়া হয়েছে মিশন করোনা। কার্সিয়াং, সোনাদা, বালাসন ভ্যালি সহ দার্জিলিংয়ের বড় অংশ ছাড়াও নেপালের পশুপতি, কাঁকরভিটা, বিরতা মোড় থেকেও সম্প্রচার শোনা যাবে। রেডিও স্টেশন থেকে বিশেষজ্ঞরা যেমন সচেতনতা বৃদ্ধিতে তাঁদের মতামত জানাবেন, তেমনি শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেবেন। সরকারি-বেসরকারি নানা পদক্ষেপের কথাও প্রচার করা হবে মিশন করোনাতে। পল জানিয়েছেন, লাইভ অনুষ্ঠান করার জন্য ইতিমধ্যেই পাঁচজন রেডিও সাংবাদিক নিযোগ করেছেন তাঁরা। ওই সাংবাদিকরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতির কথা সরাসরি শ্রোতাদের জানাবেন। ওই সব এলাকার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কী করণীয় সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামতও সম্প্রচার করা হবে।
প্রতিদিন চার ঘণ্টা অনুষ্ঠান হবে বলেই কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে। সি এম পল বলেন, ইউনিসেফ যে দাযিত্ব দিয়েছে সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা হবে। তার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মিশন করোনা পাহাড়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে। ইউনিসেফের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে জিটিএর প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান অনিত থাপা। তিনি বলেন, জিটিএর তরফে সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে পাহাড়ের বহু এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। তাই ওইসব এলাকার বাসিন্দারা করোনা সংক্রান্ত খবর বা তথ্য জানতে পারেন না। সেলেশিয়ান কলেজের রেডিও সম্প্রচার তাঁদের অনেক উপকারে লাগবে।