বেহাল রাস্তার প্রতিবাদে গ্রামবাসীরা
বেহাল রাস্তা নিয়ে আন্দোলনে নামলেন আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের পশ্চিম দেওগাঁওয়ের বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার এলাকার বেহাল রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী ট্রাকগুলিকে আটকে বোল্ডারগুলি নামিয়ে নেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেওগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রহিফুল আলম গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বললেও নিজেদের দাবিতে অনড় থেকেছেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আগে রাস্তাগুলি সংস্কার করতে হবে। তারপর তাঁরা বোল্ডার বোঝাই ট্রাক ও ডাম্পার চলাচল করতে দেবেন।
বোল্ডার বোঝাই শ’য়ে শ’য়ে ট্রাক ও ডাম্পার চলাচল করায় বেহাল হয়ে পড়েছে ফালাকাটা ব্লকের পশ্চিম দেওগাঁওয়ের একাধিক রাস্তা। যেমন দোকানের পাড় থেকে পশ্চিম দেওগাঁওয়ের সাধনের ঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি কোনো কোনো জায়গায় এতই বেহাল হয়ে পড়েছে যে কোনও যানবাহন তো দূরের কথা, গ্রামবাসীরা হেঁটেও চলাচল করতে পারছেন না।
প্রসঙ্গত, প্রায় চার কিমি দীর্ঘ ওই রাস্তাটির বেশিরভাগ অংশই এখনও পর্যন্ত কাঁচা রয়ে গিয়েছে। ভারী ট্রাক ও ডাম্পার চলাচলে নালার মতো লম্বা গর্ত তৈরি হয়েছে রাস্তায়। ফলে, বৃষ্টি হলে রাস্তার কোথাও জল থইথই করছে। রাস্তার কোনও কোনও অংশে আবার কাদার জন্য চলাচল করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। আবার, ঝার বেলতলী থেকে পশ্চিম দেওগাঁওয়ে যাওয়ার রাস্তাটিও বেহাল হয়ে পড়েছে।
দেওগাঁও নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক আবিদ হোসেন বলেন, ‘বর্ষা শুরু হতেই এলাকার একাধিক রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে, বোল্ডার বোঝাই ট্রাক ও ডাম্পার চলাচল করায় রাস্তাগুলি চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম দেওগাঁওয়ে মুজনাই নদীর পাড়ভাঙন ঠেকাতে বোল্ডারের পাড়বাঁধ তৈরি হচ্ছে। ফলে, শ’য়ে শ’য়ে ট্রাক ও ডাম্পার বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কাঁচা রাস্তাগুলি দিয়ে ভারী ট্রাক ও ডাম্পার চলাচল করায় বেহাল হয়ে পড়েছে রাস্তাগুলি।
পশ্চিম দেওগাঁওয়ের বাসিন্দা লিটন এলাহী বলেন, ‘এলাকায় পাড়বাঁধ তৈরির কাজ শুরু হওয়ায় আমরা সবাই খুশি। কিন্তু পাড়বাঁধ তৈরির জন্য বোল্ডার বোঝাই ট্রাক ও ডাম্পার চলাচল করায় রাস্তাগুলির হাল এতই খারাপ যে সেগুলি দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে না।’
দেওগাঁও গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান রহিফুল আলম বলেন, ‘রাস্তাটি অত্যন্ত বেহাল হয়ে পড়েছে এটা অস্বীকার করা যায় না। তবে, নদীভাঙন রোধে পাড়বাঁধ তৈরিও জরুরি। সমাধানসূত্র খুঁজতে বুধবার গ্রামবাসীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করব।’