ভারতের এযাবৎ কালের বিখ্যাত চিকিৎসকরা
ভারতবর্ষে এমন অনেক চিকিৎসকই আছেন বা ছিলেন যাদের কাছে ডাক্তারি শুধুমাত্র পেশা ছিল না। যারা এই পেশাটিকে পেশার বাইরে গিয়ে ভাবতে পেরেছিলেন। তাঁরা যেমন দেশের জন্যে অহঙ্কার তেমনিই পৃথিবীর জন্যে বিস্ময়।
চলুন দেখে নেওয়া যাক এযাবৎ কালের এমন কিছু চিকিৎসকদের যারা বিশ্বের দরবারে দেশের মাথা বিভিন্ন কালে উঁচু করেছেনঃ
কাদম্বিনী বসু
ভারত উপমহাদেশের ইনিই প্রথম নারী যিনি বিদেশ থেকে মেডিক্যালের ডিগ্রী অর্জন করেছিলেন। ইনিই দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম প্র্যাক্টিসিং মহিলা ডাক্তার।
আনন্দী গোপাল যোশী
দেশের প্রথম মহিলা ডাক্তার যিনি বিদেশ থেকে এমডি পাশ করেন। স্বয়ং রাণী ভিক্টোরিয়া তাঁকে অভিনন্দন জানান। এক রক্ষণশীল বাঙালি বাড়ির বৌ সমাজের গোঁড়ামির বিরূদ্ধে গিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করেন।
রুখমাবাই ভিখাজি
ইনি ভারতের অন্যতম প্রথম প্র্যাকটিসিং মহিলা ডাক্তার। রুখমাবাই ছিলেন নারীবাদী। বাল্যবিবাহের যন্ত্রনাময় জীবন থেকে বেরিয়ে তিনি নিজের সম অধিকারের জন্যে লড়েছেন। পরবর্তীতে নিজের সৎ পিতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে পড়াশোনা শুরু করেন এবং ডাক্তারি পাশ করেন।
বিধান চন্দ্র রায়
একবার রোগী দেখেই যিনি রোগ বলে দিতে পারতেন তিনি আর কেউ নন ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়। বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী। এনার রোগীর তালিকায় ছিলেন ভারতের বিখ্যাত সব ব্যক্তিত্ব। রবীন্দ্র নাথ থেকে জহরলাল নেহেরু, কে ছিলেন না সেই তালিকায়!
দেবী প্রসাদ শেঠি
১৯৯১ সালে নয় দিন বয়সী শিশু রনি`র হৃত্পিণ্ড অপারেশন করেন, যা ভারতবর্ষের ইতিহাসে প্রথম সফল শিশু হৃত্পিণ্ড অস্ত্রোপচার। তিনি কলকাতায় মাদার টেরেসার ব্যক্তিগত চিকিত্সক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর কিছুকাল পর তিনি ব্যাঙ্গালোরে চলে যান এবং মণিপাল হার্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ১৫,০০০ এর বেশি কার্ডিয়াক সার্জারি করেছেন।
সুশোভন বন্দোপাধ্যায়
যেখানে আজকের এই বাজারে টাকার কোন মূল্যই নেই, সেখানে বীরভূমের এই ডাক্তার মাত্র এক টাকা ভিজিটে রোগী দেখে চলেছেন। গরীব মানুষের কাছে ইনি হয়ে উঠেছেন ভগবান। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করেছেন।
সৌম্যা স্বামীনাথান
এই ভারতীয় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ তাঁর টিউবারকুলেসিস নিয়ে গবেষনার জন্যে বিশ্ব বিখ্যাত। তিনি এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মুখ্য বৈজ্ঞানিক।