‘ঈশ্বরের আপন দেশে’ হানিমুনে যেতে চান? জেনে নিন নিয়মাবলী
করোনা আর লকডাউনের জোড়া ধাক্কায় এখন বিয়ে মানে ‘নমো নমো’ করে একটা অনুষ্ঠান। তাও মাস্ক-গ্লাভসের ঘেরাটোপে। সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধে ভিড় কমাতে গিয়ে সেখানে বাদ বহু প্রিয়জন, বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী। বাদ যাবতীয় জাকজমক, ভরা বাসরঘরে রাতভোর আড্ডা, ঢালাও খানাপিনার আয়োজনও।
আর মধুচন্দ্রিমা? সে পর্ব পুরোটাই বাদ!কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। ট্রেন-বিমান চললেও সংক্রমণের ভয়। সেসব কাটিয়ে গন্তব্যে পৌঁছলেও সেখানে সংক্রমনের ভয়ে অধিকাংশ হোটেল বন্ধ। তাছাড়া ভিনরাজ্য হলে চোদ্দ ও চোদ্দ – মোট আঠাশ দিনের কোয়ারান্টাইনের হ্যাপা।
ফলে এই লকডাউনে দু’চারজন বিয়ে করলেও মধুচন্দ্রিমা পর্ব স্থগিত। নবদম্পতির সে দুঃখ মোছাতে হাত বাড়িয়েছে ‘ভগবানের আপন দেশ’ কেরল। আনলকের সুযোগে খুলে দিয়েছে আরব সাগর পাড়ে মধুচন্দ্রিমার দরজা। তবে শর্ত একটাই! নবদম্পতিকে আসতে হবে অন্তত সাত দিনের ট্যুর প্যাকেজে। তাহলেই ছাড় মিলবে বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টাইন পর্ব থেকে।
শুধু নবদম্পতি নয়। সঙ্গী হতে পারবেন আরও পাঁচজন আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধব। তাঁদেরকেও মানতে হবে না কোয়ারান্টাইনের কড়া বিধি। গোটা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পিনারাই বিজয়ন সরকারের। কিছু নিয়মকানুনের বেড়াজাল থাকছেই! এটা শুধুই হানিমুনারদের জন্য প্যাকেজ। নবদম্পতি ও তার পাঁচ নিকটজন ছাড়া বাকিরা নট অ্যালাউড।
লকডাউন বা আনলক চলাকালীনই যে বিয়েটা মানে ‘চারহাত এক হওয়ার পর্ব সম্পন্ন হয়েছে, তার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে বিয়ের কার্ড জমা দিলেই হবে। সেই সঙ্গে পরিচয়পত্র। এই প্রমাণপত্র দিয়ে কেরল সরকারের পোর্টাল ‘covid19jagratha’–তে আবেদন করে অনুমতিপত্র নিতে হবে। জানাতে হবে কেন আপনি কেরলে আসতে চাইছেন। সব ঠিকঠাক থাকলে তবেই এ যাত্রায় নবদম্পতিকে প্রবেশের মধুচন্দ্রিমার অনুমতি দেবে ‘ইশ্বরের আপন দেশ’।