বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

মাসির বাড়ি থেকে ফিরেও বাইরে ৩ দিন থাকেন জগন্নাথ, জানেন কেন

July 1, 2020 | 2 min read

“রথ যাত্রা” শুনলেই মনের মধ্যে ভেসে ওঠে পুরীর রথযাত্রা। প্রভু জগন্নাথদেবের প্রধান উত্‍‌সবই হল রথযাত্রা। আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে রথযাত্রা পালিত হয়। প্রভু জগন্নাথদেব, দেবীসুভদ্রা ও বলরামদেব রথে চড়ে মাসি গুণ্ডিচার বাড়ি যান ও সাত দিন পরে আবার সেখান থেকে নিজের বাড়ি ফিরে আসেন। 

রথে চড়ে এই মাসির বাড়ি যাওয়াকে সোজা রথ এবং মাসির বাড়ি থেকে নিজের বাড়ি ফিরে আসা উল্টোরথ বলা হয়। এছাড়াও আরও অনেক নামে ডাকা হয় এই যাত্রাকে। যেমন, পতিতপাবনযাত্রা, নবযাত্রা, গুন্ডিচাযাত্রা ইত্যাদি।  

পুরীর এই রথযাত্রার উৎসব উল্টোরথের পরেও চলতে থাকে। মাসির বাড়ি থেকে ফেরার পরও প্রভু জগন্নাথদেব, দেবীসুভদ্রা ও বলরামদেব প্রবেশ করেন না মূল মন্দিরে। তিন দিন এরকম ভাবেই বাইরে থাকে রথসহ বিগ্রহ।

প্রশ্ন হল বাইরে কেন বিগ্রহ?

এই তিন দিন পালিত হয় বেশ কিছু অনুষ্ঠান। যার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন প্রভু জগন্নাথদেব। বছরে এক বার মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন জগন্নাথ, কিন্ত ফিরে আসার পর রীতিমত ধূমধাম করে সমারোহের সঙ্গে জগন্নাথ সুভদ্রা বলরামকে মন্দিরে রত্নবেদীতে তোলা হয়। 

সোনাবেশ- এই দিন প্রভু জগন্নাথ সহ দেবীসুভদ্রা ও বলরামদেবও সাজেন নানা সোনার অলঙ্কারে। সোনার বেশে সুসজ্জিত হন সকলে। বাড়ি ফেরার পর একাদশী তিথিতে পালিত হয় এই সোনাবেশ।

অধরপনা- এই উৎসব উদযাপিত হয় দ্বাদশীর সন্ধ্যায়। এই রীতি অনুযায়ী জগন্নাথদেবকে শরবত খাওয়ানোর পালা চলে। এক বিশেষ পাণীয় নিবেদন করা হয় জগন্নাথদেবকে।    

রসগোল্লা উৎসব-  ত্রয়োদশীর দিন জগন্নাথদেবের উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হয় কয়েকসহও হাঁড়ি রসগোল্লা। বাড়িতে অতিথি আসার পর এক মিস্টিমুখের যে পর্ব সচরাচর হয়, তারই প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে এই উৎসবে। 

নীলাদ্রিবিজয় উৎসব- এই উৎসবকে সমাপ্তি উৎসব বলা যায়। শেষ হয় এই সমস্ত রীতি। এভাবেই বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের পর প্রভু জগন্নাথদেব, সুভদ্রাদেবী ও বলরামদেবের বিগ্রহদের মন্দিরের মূল রত্নবেদীতে তোলা হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Ulta Rath, #puri rath yatra

আরো দেখুন