আদিবাসী ও দুঃস্থদের মাত্র ১০৬ টাকায় শাড়ি দেবে রাজ্য সরকার
বারো হাত শাড়ি মাত্র ১০৬ টাকায়! না, ‘করোনা সেল’ নয়। ভর্তুকির মাধ্যমে আদিবাসী ও দুঃস্থদের সস্তা দামে শাড়ি দেবে রাজ্য সরকার। প্রতিটি শাড়িতে সরকার ৯৯ টাকা ভর্তুকি দেবে। কালোবাজারি রুখতে রেশন কার্ড দেখে এই শাড়ি দেওয়া হবে। করোনা পরিস্থিতিতে একাধিক জনমুখী প্রকল্প নিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল তন্তুজের শাড়ি। প্রথম পর্যায়ে রাজ্যের মধ্যে পূর্ব বর্ধমানে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় চারটি সেল কাউন্টার খুলছে তন্তুজ। দ্বিতীয় পর্যায়ে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মেদিনীপুর সহ গোটা জঙ্গলমহলে ওই কাউন্টার খোলা হবে। আদিবাসী ছাড়াও তফসিলি জাতি এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের দুঃস্থরাও এই শাড়ি নিতে পারবেন।
তন্তুজের এই ধরনের ‘চিপার শাড়ি’ তথা সস্তার শাড়ি তৈরি হয়। কিন্তু, এবার সেল কাউন্টার করে ভর্তুকিতে বিক্রি করবে সরকার। মঙ্গলবার ছিল হুল দিবস। এদিনই রাজ্য সরকার এবং তন্তুজের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় এই কাউন্টার খোলা হবে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় আউশগ্রাম, মেমারি-২ ব্লকের সাতগেছিয়া এবং পূর্বস্থলীর দামোদরপাড়ায় প্রথমে তিনটি কাউন্টার হবে। কারণ, এই তিনটি এলাকায় সবচেয়ে বেশি আদিবাসী মানুষ বসবাস করেন। জেলার চার নম্বর কাউন্টারটি দক্ষিণ দামোদর এলাকায় খোলা হবে। তবে, সেখানে জায়গা ঠিক হয়নি। শাড়ির সঙ্গে প্রতিটি সেল কাউন্টারে লুঙ্গি, গামছা ও আদিবাসীদের নৃত্যের পোশাকও থাকবে। সেগুলিও সস্তায় পাওয়া যাবে।
তন্তুজের চেয়ারম্যান তথা বস্ত্রদপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, তন্তুজ এই চিপার শাড়ি তৈরি করলেও আমরা এই প্রথম আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় সেল কাউন্টার খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পূর্ব বর্ধমান থেকে শুরু হবে। তারপর জঙ্গলমহলেও করব। হুল দিবসের দিনই এই নতুন উদ্যোগ চূড়ান্ত হয়েছে। ক্রেতাদের রেশন কার্ড দেখিয়ে কিনতে হবে। একটি রেশন কার্ডে একটি শাড়ি দেওয়া হবে। তা না হলে অনেকে একাধিক শাড়ি কিনে নিতে পারেন। বাইরে বেশি দামে বিক্রি করে তা কালোবাজারি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তাই এই সিদ্ধান্ত। তাছাড়া, ভর্তুকি দিয়ে তৈরি করছি। তাই আমরা চাই, আদিবাসী ও প্রকৃত দুঃস্থরা কেনার সুযোগ পাক। কাউন্টার খোলার জন্য এই ধরনের শাড়ির শীঘ্রই বরাত দেওয়া হবে। ফলে, তাঁতশিল্পীরাও উপকৃত হবেন।