বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে আসছে তিনটে বাঘ
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে প্রথম পর্বে তিনটি বাঘ আনার জন্য বারো কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি। অসম থেকে যে বাঘ আনা হবে, তা আগেই ঠিক করেছিল রাজ্য বন দপ্তর। প্রতিবেশী রাজ্য অসমের সঙ্গে ওই বিষয়ে কথাও বহু দূর এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আচমকাই করোনা থাবা বসানোয় ওই পরিকল্পনায় ছেদ পড়ে যায়। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় বাঘ সংরক্ষণকারী সংস্থার পক্ষ থেকে অর্থ মঞ্জুর হয়ে যাওয়ায়, বক্সায় নতুন করে দক্ষিণরায়দের দেখা পাওয়াটা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে এসে ওই খুশির খবর শুনিয়েছেন রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা। এনটিসিএর গাইড লাইন মেনে ইতিমধ্যেই বাঘেদের খাবার সুনিশ্চিত করতে বাইরের জঙ্গল থেকে এনে ছাড়া হয়েছে প্রচুর চিতল হরিণ। তাদের খাদ্যের যোগান বাড়াতে তৈরি করা হয়েছে বিস্তীর্ণ তৃণভূমি। এরপর ছাড়া হবে সম্বর হরিণ। সব মিলিয়ে নতুন অতিথিদের স্বাগত জানাতে বক্সার জঙ্গল প্রায় প্রস্তুত বলে দাবি বন দপ্তরের। যদিও প্রথম ধাপে একসঙ্গে ছয়টি বাঘ আনার সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল এনটিসিএ। কিন্তু রাজ্যের বনকর্তারা পরীক্ষামূলক ভাবে তিনটি বাঘ এনেই পরিস্থিতি রেইকি করতে চাইছেন।
রবিকান্ত সিনহা বলেন, ‘প্রথমেই ছয়টি বাঘের ঝুঁকি আমরা নিতে চাইছি না। তিনটি বাঘ এনে পরিস্থিতি যাচাই করা হবে। সব ঠিক থাকলে ধাপে ধাপে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।’ তবে এনটিসিএর আরও নির্দেশ ছিল যে, ভিনরাজ্য থেকে বাঘ আনার আগে জঙ্গলের কোর এলাকা থেকে সরাতে হবে বনবস্তিগুলি। বাস্তবে তা করা এখনও সম্ভব হয়নি। বক্সার জঙ্গলের কোর ও বাফার এলাকা মিলিয়ে রয়েছে ৩৭টি বনবস্তি। রবিকান্ত সিনহা এ নিয়ে বলেন, ‘আমরা নানা ভাবে চেষ্টা করেছি। পরিবার পিছু সরকারি জমি ও দশ লক্ষ টাকা করে অনুদান পর্যন্ত দিতে চাওয়া হয়েছে। অথচ তাতে ওই বনবস্তির বাসিন্দাদের কাছ থেকে সহযোগিতা মেলেনি। যেখানে তাদোবা জাতীয় উদ্যানে বাঘ ছাড়ার আগে দুই মাসের মধ্যে ১২০টি বনবস্তি সরানো সম্ভব হয়েছিল। আমরা বহু চেষ্টা করেও পারছি না। বাকিটা বুঝবেন বক্সার বনবস্তির বাসিন্দারা। কাজ সময় মতোই হবে। সময় তো আর থেমে থাকে না।’