কন্টেইনমেন্ট জোন কমল শহর কলকাতায়
বুধবার থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে আনলক ২। কন্টেইনমেন্ট জোন ছাড়া সর্বত্রই শিথিল করা হচ্ছে লকডাউন। আর করোনা মহামারীকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে রাজ্য। অপরিকল্পিতভাবে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফেরার পর যে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তার অনেকটাই সামলে নিয়েছে রাজ্য। এলাকাভিত্তিক নয়, এখন কন্টেইনমেন্ট জোন আক্রান্তের বাড়ি বা সেই চত্বরেই সীমাবদ্ধ। তাই আপাত দৃষ্টিতে এই মুহূর্তে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেশি দেখালেও স্বাভাবিক হচ্ছে রাজ্য। বর্তমানে রাজ্যে কন্টেইনমেন্ট জোনের মোট সংখ্যা ৩ হাজার ৫৩২। এর মধ্যে ২ হাজার ৭৯৭টি অ্যাফেক্টেড জোন এবং ৭৩৫টি বাফার জোন রয়েছে। তাই কন্টেইনমেন্ট জোনে লকডাউন কঠোরভাবে পালনেই নজর দিয়েছে নবান্ন। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে কড়া নজরদারির নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে পুলিসের কাছে।
এর মধ্যেই আশার আলো দেখাচ্ছে কলকাতা। এই পরিস্থিতিতেও মহানগরে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। শহরে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমে হয়েছে ১৭৯৬টি। তবে প্রতিবেশী শহর হাওড়ায় কন্টেইনমেন্ট জোন ১২১ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪৬। কলকাতা ও হাওড়ায় কোনও বাফার জোন নেই। দক্ষিণ এবং উত্তর ২৪ পরগনায় সংখ্যাটা হয়েছে যথাক্রমে ১২০ ও ২১৯। একইভাবে পশ্চিম মেদিনীপুরে ২০৯, হুগলিতে ৭১, পূর্ব বর্ধমানে ১৩০, পূর্ব মেদিনীপুরে ৫, মালদহে ২০, জলপাইগুড়িতে ৫, দার্জিলিংয়ে ২, উত্তর দিনাজপুরে ৪৮, মুর্শিদাবাদে ৪, বাঁকুড়ায় ৩১, বীরভূমে ৯, কোচবিহারে ৩৫ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে ১টি কন্টেইনমেন্ট চিহ্নিত হয়েছে। রাজ্যজুড়ে বাফার জোন রয়েছে ৭৩৫টি। আলিপুরদুয়ার ও ঝাড়গ্রামে কোনও কন্টেইনমেন্ট জোন নেই।