বর্ষায় আরো সুন্দরী হয়ে উঠেছে মাইথন
করোনা আতঙ্কে লকডাউনের জেরে মাইথনের শিমূল পলাশের শোভা থেকে এবছর বঞ্চিত হলেন পর্যটকরা। কিন্তু সেই বিষাদের ছায়া কেটেছে। ‘আনলক ওয়ান’এর দ্বিতীয় ধাপে খুলল পর্যটনকেন্দ্র মাইথন। কল্যানেশ্বরী মন্দিরের দরজা খুলতেই জীবন কল্যাণের প্রার্থনায় পুজো দিলেন ব্যবসায়ীরাও।
সরোবর, জঙ্গল, সবুজ পাহাড় সবটা মিলিয়েই মাইথন। বছরে আট মাসই পর্যটকের ভিড় লেগেই থাকে। ফেব্রুয়ারি-মার্চে পলাশ আর শিমুলের মাতানো দোল উত্সব। এপ্রিল থেকে জুন, গরমের ছুটিতে বেড়ানো। অক্টোবরে পুজোর ছুটিতে পর্যটকের ঢল। নভেম্বর থেকে জানুয়ারিতে পিকনিক, শীতকালীন ছুটি।
কিন্তু লকডাউনে সেই চেনা ছবি বদলেছে। পসরা সাজিয়ে বসে আছেন দোকানীরা, ক্রেতা নেই। হোটেল খাঁ খাঁ করছে। স্থানীয়দের দাবি, এতদিন মানুষের পা না পড়ায় প্রকৃতি আপন মনে আরো সেজে উঠেছে। আরো সুন্দরী হয়েছে মাইথন।
সবাই আশায় বুক বাঁধছে আবার কবে কোলাহলে ভরবে মাইথন। সেই প্রস্তুতিই শুরু করে দিল মাইথনের হোটেলগুলি। পিপিই পরে সাফাইকর্মীরা গোটা হোটেল জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু করলেন। ফেরিঘাট থেকে বাঁধনমুক্ত হল নৌকাগুলো। এখন শুধু পর্যটক আনাগোনার অপেক্ষা।