বাংলায় বেকারত্বের হার জাতীয় হারের তুলনায় অনেক কম: মুখ্যমন্ত্রী
লকডাউনের জেরে দেশে লাফিয়ে বাড়ছে বেকারত্ব। প্রতিদিনই কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনা সামনে আসছে। বেকারত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও টালমাটাল, যা নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে তরজা চলছে। এর আগেও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও বেকারত্ব নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর এবার সরাসরি টুইট করে তিনি তথ্য সহকারে দেখালেন বাংলা বেকারত্বের হার জাতীয় হারের চেয়ে অনেকটাই কম। তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো শনিবার সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি (সিএমআইই)-র একটি রিপোর্টের তথ্য পেশ করে বাংলা ও দেশের বেকারত্ব তুলনা টেনেছেন।
তিনি লিখেছেন, জুন মাসে পশ্চিমবঙ্গের বেকারত্বের হার জাতীয় গড়ের থেকে অনেকটাই কম। উল্লেখ্য, বুধবার প্রকাশিত সিএমআইই রিপোর্ট অনুযায়ী, জুনে দেশে বেকারত্বের হার ১১%। মে মাসে সেই হার ছিল ২৩.৫%। অর্থাৎ মে মাসের মাসের চেয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বেকারত্বের হার যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। তবে রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলায় জুনে বেকারত্বের হার দেশের চেয়ে অনেকটাই কম, ৬.৫%।
এই বিষয়টি উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রীর টুইট, করোনাভাইরাস ও আমপানের কারণে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় আমরা ব্যাপক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিয়েছি। যার প্রমাণ মিলছে রাজ্যের বেকারত্ব হার নিয়ে সিএমআইই-র দেওয়া তথ্যে। সিএমআইই অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গের জুন মাসের বেকারত্বের হার ৬.৫%, যা দেশ (১১%), উত্তরপ্রদেশ (৯.৬%) এবং হরিয়ানার (৩৩.৬%) তুলনায় অনেকটাই ভাল।
সিএমআইই-র রিপোর্ট অনুসারে দেশের রাজ্যগুলির মধ্যে হরিয়ানায় (৩৩.৬%) বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ। এরপর রয়েছে আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরা (২১.৩%)। উল্লেখ্য, লকডাউন পরিস্থিতিতেও নানা জনকল্যাণমূলক প্রকল্প জারি রেখেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কাজ হারিয়ে ভিন রাজ্য থেকে বাংলায় ফেরা আইটি কর্মীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী সরকারি পোর্টালও চালু করেছেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দিয়ে রাজ্যে ১০০ দিনের কাজও চলছে।
সিএমআইই-র রিপোর্ট অনুসারে, আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর অর্থাৎ জুনে দেশে মোট ৩৭.৩ কোটি নাগরিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তবে ৪৬.১ কোটি নাগরিক এখনও চাকরি খুঁজছেন বলে সেই রিপোর্ট দাবি করা হয়েছে।