ভারত-বাংলাদেশে নিয়মিত চলবে পণ্যবাহী ট্রেন
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে এখন থেকে নিয়মিত পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করবে। করোনা মহামারীতে স্থলপথে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। এরপর রেল যোগে পণ্যপরিবহনের প্রস্তাব দেয় ভারত। এনিয়ে বিদেশ ও বাণিজ্যমন্ত্রক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এলবিআর এবং বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রক রেলপথে পণ্যপরিবহনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ১১ মে ৪৩টি ওয়াগন যুক্ত প্রথম পণ্যবাহী ট্রেন আসে বেনাপোলে।
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সূত্র জানা যায়, একমাসে ইন্ডিয়ান রেলওয়ের ১০৩টি পণ্যবাহী ট্রেন বাংলাদেশে পেঁয়াজ, আদা, মরিচ, ভুট্টা, হলুদ, ধানের বীজ, চিনির ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চালান সরবরাহ করেছে।
করোনা মহামারি ও লকডাউনের মধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে দু’দেশের মধ্যে ট্রেনে পণ্য আনা-নেওয়া বেড়েছে। যা দু’দেশের রেলওয়েতে এক মাসে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের রেকর্ড। ট্রেনে পণ্য সরবরাহের সাফল্য দেখে বাংলাদেশ রেলওয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। প্রতিটি ট্রেনেই কমপক্ষে ২৩৮ মেট্রিক টন পণ্যবহন সম্ভব হবে।
সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গঙ্গোপাধ্যায় দাশ একাধিক ভিডিও কনফারেন্সে রেল মন্ত্রক, এনবিআর ও বাণিজ্য মন্ত্রকে দু’দেশের মধ্যে ট্রেনে পণ্য আনা-নেওয়া সহজিকরণের ব্যাপারে অনুরোধ জানান। আলোচনার পরে এখন এনবিআর ও বাংলাদেশ রেলওয়ে বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে কনটেইনার ট্রেন সেবা সহজ করার বিষয়ে একমত পোষণ করেছে। দর্শনা-গেদে, পেট্রাপোল-বেনাপোল, সিংহবাদ-রোহানপুর ও রাধিকাপুর-বিরল সীমান্ত দিয়ে এই ট্রেন চলাচল করবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় হাইকমিশন।
করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতিতে পণ্য চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এসব ট্রেনে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যপরিবাহীত হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় পেঁয়াজ বোঝাই ৪২টি ওয়াগন নিয়ে দর্শনা-গেদে সীমান্তে ভারত থেকে মালবাহী ট্রেন আসে। দর্শনা-গেদে সীমান্তে বাংলাদেশ রেলওয়ে এই ট্রেনের পণ্য সুবিধাজনক টার্মিনালে নামিয়ে নেবে। এখন থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অত্যবশ্যকীয় পণ্য নিয়ে ট্রেন চলাচল করবে। করোনা প্রার্দুভাব ও লকডাউনের কারণে ভারত -বাংলাদেশ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় রেলপথে পণ্যপরিবহনের প্রস্তাব দেয় ভারত। বাংলাদেশ ভারতের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানায়। বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ইন্ডিয়ান রেলওয়ের ব্যবস্থাপনায় ট্রেনগুলো চলাচল করছে।