বিনামূল্যে র্যাশন, অতিরিক্ত ৫ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনার অনুমোদন দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
আগামী বছরের জুন পর্যন্ত বিনামূল্যে র্যাশন দিতে আরও ৫ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনার অনুমোদন দিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্য বাজেট থেকেই অতিরিক্ত ধান কেনার টাকা দেওয়া হবে। ২০২১-এর জুন পর্যন্ত বিনামূল্যে র্যাশন দেওয়ার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই এই ব্যাপারে তৎপরতা শুরু হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার জানান, এবার ইতিমধ্যেই সরকার ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে। এ পর্যন্ত খাদ্য দপ্তর কৃষকদের কাছ থেকে ৪৬ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনেছে।
আগামী জুন পর্যন্ত র্যাশনে বিনামূল্যের প্রক্রিয়া চালু রাখতে গেলে আরও ধান সরকারকে কিনতে হবে। আপাতত আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত ধান কিনে সরকার নিশ্চিন্ত থাকতে চায়। এই জন্য আপাতত আরও ৫ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কৃষকদের কাছ থেকে কেনার জন্য খাদ্য দপ্তরকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খাদ্য দপ্তরও ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু করতে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানান প্রদীপবাবু।
এদিকে, বাজারে আলুর দাম ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। বিষয়টি রাজ্য সরকারের নজরে এসেছে। দাম একেবারে মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেলে সরকার হস্তক্ষেপ করবেই। মুখ্যমন্ত্রী কৃষি উপদেষ্টা বলেন, ‘এবার আলুর দাম এখন বাড়বে এ আশঙ্কা আমাদের ছিলই। সারা দেশেই এবার আলুর ঘাটতি রয়েছে। এই আশঙ্কা থেকেই রাজ্য সরকার এবার আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে পরিস্থিতি মোকাবিলায়।’ প্রদীপবাবু বলেন, ‘সব দিক আমাদের নজরে রয়েছে। তবে এখনও সরকারের হস্তক্ষেপ করার মতো সময় হয়নি। সময় হলেই আমরা ব্যবস্থা নেব।’
আগাম ব্যবস্থা হিসেবে সরকার ৬০ হাজার মেট্রিক টন আলু কিনে রেখেছে। দাম বাড়ার আশঙ্কায় সরকারিভাবে এই মজুত রাখা হয়েছে। কৃষি উপদেষ্টা জানান, বাজারে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সরকার হস্তক্ষেপ করবে। মজুত আলু সুলভমূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে সরকার। এতে বাজারে প্রভাব পড়বেই। দাম নাগালের বাইরে চলে যাবে না।
তিনি জানান, কৃষকরা অনেকদিন পর এবার মাঠে আলুর ভালো দাম পেয়েছে। প্রায় ১২ থেকে ১৪ টাকা কেজি প্রতি। যা সাম্প্রতিককালে হয়নি। সরকার ৬০ হাজার মেট্রিক টন আলু কেনায় কৃষকদের অভাবি বিক্রিও কমেছে।