সুশান্তের মৃত্যুতে সুরজের নাম, চাঞ্চল্য
ময়নাতদন্ত এবং ভিসেরা রিপোর্টের ভিত্তিতে মুম্বই পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, আত্মহত্যাই করছেন সুশান্ত সিং রাজপুত। কিন্তু তাঁর মৃত্যু নিয়ে জল্পনা থামছে না।
এ বার তাঁর মৃত্যুতে জড়িয়ে গেল অভিনেতা সুরজ পাঞ্চোলির নাম। যিনি প্রয়াত অভিনেত্রী জিয়া খানের প্রেমিক ছিলেন। অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলি ও অভিনেত্রী জারিনা ওয়াহাবের ছেলে সুরজ এখনও থানায় হাজিরা দিয়ে থাকেন জিয়ার মৃত্যু নিয়ে তদন্তের জন্য। এ সবের মাঝে সুশান্তের বাবার কে কে সিংয়ের টুইটার অ্যাকাউন্ট আবির্ভূত হয়েছে। সেখানে লেখা, ‘আমার ছেলের আত্মা কাঁদছে। সে পুরো ঘটনার সিবিআই তদন্ত চায়।’ সুশান্তের পরিবার এতদিন বিরোধিতা করে এসেছেন সিবিআই তদন্তের।
সুশান্তের মৃত্যুতে সুরজের নাম জড়াল কী করে? অনেকে বলতে শুরু করেছেন, সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ান আত্মহত্যা করেন অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়। সুরজই সেই মৃত সন্তানের বাবা। সুশান্তের সঙ্গে সুরজের ঝামেলা ছিল। সুশান্ত ব্যাপারটা পছন্দ করেননি। সুশান্ত সুরজের হাত থেকে দিশাকে বাঁচাতে চেয়ে পারেননি।
আদিত্য-জারিনার ছেলে তীব্র প্রতিবাদ করে বলেন, ‘আমি দিশাকে চিনতামই না। কোনওদিন দেখাও হয়নি। ওর নাম শুনছি সুশান্তের মৃত্যুর পর।’ ছেলের হয়ে প্রতিবাদে নেমেছেন আদিত্যও। নানা জায়গায় লেখা হচ্ছে, সলমান খানের সঙ্গে সুশান্তের ঝামেলা সুরজকে কেন্দ্র করেই। জিয়া খানের মৃত্যুর সময়ও তাঁর গর্ভে ছিল সুরজের সন্তান। সে সময় সলমান বন্ধু আদিত্যের অনুরোধেই বাঁচান জুনিয়র পাঞ্চোলিকে। এ বারও সুশান্তের সঙ্গে সলমান ঝামেলায় জড়ান সুরজের জন্য। পাঞ্চোলিরা এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। সুরজের কথায়, ‘সুশান্তের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। ও আমায় খুব পছন্দ করত। জিয়ার কেস আট বছর ধরে চলছে। ওর মা কোর্টেই আসছে না। আমি জ্বর নিয়েও সব দিন যাচ্ছি। যারা এ সব বলছে, তারা আমাকে অপদস্থ করতে চায়।’
এ সবের মধ্যে সুশান্তের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্ত চেয়ে সোচ্চার অনেকে। রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো অনেক বিজেপি নেতা নেত্রী প্রতিদিন এ নিয়ে টুইট করে চলেছেন। প্রশ্ন উঠেছে, এটা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে চাপে ফেলার জন্য কিনা।