প্রিয়াঙ্কার সরকারি বাংলোতে বিজেপির এমপি অনিল বালুনি
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে বাংলো ছাড়ার নোটিস পাঠানোর দু’দিনের মধ্যেই দিল্লির অভিজাত এলাকার ওই বাড়ি বরাদ্দ করা হল বিজেপির এমপি অনিল বালুনিকে। বালুনি রাজ্যসভার প্রথমবারের এমপি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নেতৃত্বাধীন ‘ক্যাবিনেট কমিটি অন অ্যাকোমোডেশন’ এই বরাদ্দের অনুমোদন করতেই নগরোন্নয়ন এবং আবাসন মন্ত্রকের ডায়রেক্টরেট অব এস্টেট ওই বাংলো বিজেপির উত্তরাখণ্ডের নেতাকে দিচ্ছে। বালুনি এখন সংসদ ভবন থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে গুরুদোয়ারা রবাকগঞ্জ রোডের ২০ নম্বর বাংলোয় থাকেন। সেটি টাইপ সিক্স বাংলো। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ৩৫ লোধি এস্টেটের বাংলোও তাই। ফলে বিজেপি এমপিকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে, এমন অভিযোগ করতে পারবে না কেউ।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলীমনোহর যোশি এবং মনিন্দর সিং বিট্টার মতো ব্যক্তি বর্তমানে কোনও পদে না থাকলেও তাঁরা কী করে এখনও লুটিয়েন দিল্লির বাংলোয় রয়েছেন? এ ব্যাপারে মন্ত্রকের বক্তব্য, ওগুলো বিশেষ অনুমোদন। জীবন সংশয়ের ঝুঁকির কথা ভেবেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রস্তাব মতো ওই বরাদ্দ বজায় রয়েছে। এদিকে, কংগ্রেসও দাবি করছে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর জীবন সংশয়ের ঝুঁকি মোটেই কমেনি। কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভির অভিযোগ, সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে।
সূত্রের খবর, প্রিয়াঙ্কা এখনই ওই বাংলো ছাড়তে চান না। কিন্তু সরকার চাপ বাড়াচ্ছে। মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, অনিল বালুনিকে ৩৫ নম্বর লোধি এস্টেটের বাংলো বরাদ্দ করা হয়েছে। অন্যদিকে নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে, ১ আগস্ট পেরিয়ে যাওয়ার পরেও প্রিয়াঙ্কা কোনও জবাব না দিলে, তাঁকে ডায়রেক্টরেট অব এস্টেটের বিশেষ আদালতে ডেকে পাঠানো হবে। সেখানে হাজিরা না দিলে পাঠানো হবে তিনদিনের মধ্যে বাড়ি খালি করে দেওয়ার নোটিস। তারই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করতে রবিবার সরকারি ছুটির দিনেও মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট অফিসারদের নির্মাণ ভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছে।